প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৭ সেপ্টেম্বর

তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় লাগোয়া ঘরে দিনের পর দিন ধরে এক মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হল তিন তৃণমূল কর্মী
।ধৃতরা হলো আলি দফাদার, রকি দফাদার ও সোনা দফাদার। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায়।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বর্ধমান থানার পুলিশ শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের
এখন শ্রীগরে ঠাই হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূলকে চড়া সুরে বিঁধেছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
নির্যাতিতা মহিলা নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরেে শেষমেষ শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে সরব হন। সেখানেই তিনি তুলে ধরলেন তাঁর উপর হয়ে চলা নির্যাতনের করুন কাহিনী। রাজ্যের ও দেশের মন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছেও তিনি তাঁর উপর হয়ে চলা নির্যাতনের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার আবেদন করেন। এই পোস্টের দু’দিন আগে সামাজিক মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তার পোস্টে লিখে ছিলেন , “আমি আজকে সবারই কাছে খারাপ। জানি না আর কতদিন লড়াই করবো ঠাকুর। আমাকে শক্তি দাও।”
খোদ বর্ধমান শহরের সম্ভ্রান্ত পাড়ার এক মহিলার এমন আকুতি মূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হুলস্থুল পড়ে যায় ।ঘটনা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল ফেলে
। তা জেনে সক্রিয় হয় বর্ধমান থানার পুলিশ।
নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ ৩ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা মহিলা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন,
“তাঁর উপর শারীরিক নির্যাত চালাতো ওই যুবকরা । তারা তাঁকে বারে বারে ধর্ষণের চেষ্টা করে“।
এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে,ধৃতরা সকলেই তৃণমূল সক্রিয় কর্মী।তাদেরকে শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গে মঞ্চে দেখা যেত।
এখন যদিও এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কোন ভন্তব্য না কর কার্যত এড়িয়ে যান। তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও রাগঢাক না রেখে জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “বাংলার মেয়েকে চাই বলে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার
বাংলার সাধারণ মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে ব্যর্থ ।
তৃণমূলের রাজত্বে বাংলায় মহিলারা কেউ নিরাপদে নেই । আরজি কর কাণ্ড তার বড় প্রমাণ। তৃণমূল
সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মহিলাদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানান এই বিজেপি নেতা ।