প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- টাকা লুঠের জন্য বাড়িতে ঢুকে নৃশংস ভাবে বৃদ্ধকে খুনের ঘটনায় এক বিজেপি নেতা ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ ।
ধৃতরা হল জয়ন্ত সাঁতরা , সিরাজউদ্দিন মণ্ডল ওরফে টগর শেখ ও গৌতম মণ্ডল । বর্ধমানের
বেলকাশে বাড়ি জয়ন্তর । সিরাজউদ্দিন সরাইটিকর এবং গৌতম বেচারহাট এলকার
বাসিন্দা। ধৃত জয়ন্ত বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ২৭ নম্বর জেলা পরিষদের বিজেপির ‘শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ’। পুলিশের দাবি রায়নার পোস্ট অফিস পাড়া নিবাসী বৃদ্ধ জীবন কানাই সেনগুপ্তকে এই তিনজনই পরিকল্পনা করে নৃশংস ভাবে খুনের করেছে । শুক্রবার বিকালে পুলিশ তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার তিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে বলে খবর । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মৃতর পরিবার পরিজন । এদিকে ভোটের মুখে এই ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়ানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্য চড়িয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
পুলিশ জানিয়েছে ,গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রায়নার পোস্টঅফিস পাড়ার বাড়িতে নৃশংস ভাবে খুন হন বৃদ্ধ জীবন কানাই সেনগুপ্ত ।খুনের ঘটনার
পরেই জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসডিপিও ( বর্ধমান দক্ষিন) আমিনুল ইসলাম খানের নির্দেশে বিশেষ টিম গঠন করে তদন্তে নামেন । ঘটনার ৯ দিনের মাথায় খুনের ঘটনায় জড়িতদের
খোঁজ পুলিশ পেয়ে যায় ।মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে সিরাজউদ্দিনকে, বাকি দু’জনকে বর্ধমান থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে । গ্রেপ্তারের পর ধৃতরা জেরায় খুনের ঘটনা ঘটানোর কথা কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি ।ধৃতদের মধ্যে গৌতম ও সিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানা অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ।
এসডিপিও জানিয়েছেন “ফোন-সহ বিভিন্ন সূত্র ধরে খুনে জড়িতদের কাছে পৌঁছানো যায় ।“ ধৃতদের মধ্যে সিরাজের শাশুড়ি নিহতের বাড়িতে আয়ার কাজ করতো। তার কাছ থেকেই ধৃতরা জানতে পারে রায়না পোস্ট অফিসপাড়ার একটি বাড়িতে শুধু তিনজন বৃদ্ধবৃদ্ধা থাকেন।সেই বৃদ্ধর ঘরের আলমারিতে কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে। এমনটা শোনার পর থেকেই কি ভাবে ওই টাকা লুট করা যায় তার পরিকল্পনা সিরাজ শুরু করে। বন্ধু গৌতমও সিরাজের সঙ্গে সেই পরিকল্পনাতে যোগ দেয় । ঘটনা ঘটানোর আগে তাঁরা এলাকায় ‘রেইকি’ করে যায় । খুনের ঘটনার দিন জয়ন্তকে সঙ্গে নিয়ে গৌতমের মোটরবাইকে চড়ে তিনজন রায়না বাজারে আসে। বৃদ্ধর বাড়ির কিছুটা দূরে মোটরবাইক রেখে তাঁরা পাঁচিল টপকে বৃদ্ধর বাড়ির ভিতরে ঢোকে। বৃদ্ধ জবন কানাই বাবু তখন ঘরের একটি চেয়ারে বসে টিভি দেখছিলেন। তিন যুবকে দেখে বৃদ্ধ চিৎকার শুরু করে দিলে যুবকরা বন্দুক দেখিয়ে তার মুখ চিপে ধরে বৃদ্ধকে ভয় দেখানোর সময়েই দুর্ঘটনা ঘটেযায় । জয়ন্ত সাঁতরাকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি যুব নেতা শ্যামল রায় অবশ্য বলেন, “ভোটের মুখে সূযোগ বুঝে মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে।“
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি