ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রীর অভিযোগ হামেশাই শোনাযায়।তবে অবাক করার বিষয় হল এখন ভেজাল বিড়িও বিক্রি হচ্ছে দোকান বাজারে । একটি বিশেষ কোম্পানির নকল বিড়ি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ ২টি বস্তায় ভর্তি ১৪ হাজার পিস নকল বিড়ি সহ হাতেনাতে ওই কারবারীদের গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই ভেজাল বিড়ি কারবারীর নাম মহম্মদ আনসার শেখ ও আকবর শেখ। মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানার মহাদেবনগরে আনসারের বাড়ি । অপর ধৃত আকবরের বাড়ি একই জেলার সামসেরগঞ্জে।রায়না থানার শ্যামসুন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে একটি বিশেষ কোম্পানির ব্র্যান্ডের ২ বস্তা নকল বিড়ি উদ্ধার হয়েছে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজুকরে পুলিশ দুই ধৃতকে বুধবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে । নকল বিড়ি কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের ৭ দিন পুলিশ হেপাজতে নেবার আবেদন আদালতে জানান । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম রাজরষি মুখোপাধ্যায় ধৃতদের ৪ দিন পুলিশ হেপাজতে পাঠাোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
রায়না থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৩ সালে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও তাঁর এক সঙ্গী মিলে বিড়ি প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা খোলেন। ওই সংস্থার বিড়ির নিজস্ব ট্রেডমার্কও রয়েছে। ওই বিড়ি কোম্পানির শাখা অফিস রয়েছে রায়নার শ্যামসুন্দরে।
সংস্থার লোকজন সেখান থেকে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিড়ি সরবরাহ করেন ।কিছুদিন যাবৎ ওই সংস্থার ব্র্যান্ডের বিড়ির বিক্রী কমে যাওয়ায় নড়ে চড়ে বসেন সংস্থার লোকজন ।তারা বিড়ি বিক্রী কমেযাবার কারণ অনুসন্ধানে নামেন। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ চালিয়ে তারা জানতে পারেন কেউ নিম্নমানের মাল-মশলা দিয়ে তাঁদের সংস্থার ব্র্যান্ডের নকল বিড়ি তৈরি করে দোকানে বাজারে বিক্রি করছে।
এমনটা নিশ্চিৎ হবার পরেই সংস্থার তরফে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।তার ভিত্তিতে প্রতারণা এবং ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট অ্যাক্ট লঙ্ঘনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ।