সেখ সামসুদ্দিন :- ২০২০ তে তো প্রথম কয়েকটা ওভার ভালো খেলা যাচ্ছিল। আর এ বছরের প্রথম ওভার থেকেই তো বল বাউন্স করছে ! পাল্লারোডে কাল সকালে ১টি খুব খারাপ ঘটনা ঘটে, ওদিকে সকালে বাংলার মহারাজের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনায় যখন এমনিই মন খারাপ তখন এদিকে পথে বসিয়ে দিল ১টি পরিবারকে, হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই গোটা বাড়ি, পাল্লারোড হাস্পাতাল পাড়ার তারক নাথ দাসের বাড়ির ঘটনা,
আগুনের ভয়বহতা এতটাই যে বই খাতা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ নথির সাথে সাথে পড়ে গলে গেছে অ্যালুমুনিয়ামের হাড়ি কড়াই থেকে বাড়িতে থাকা সোনা রুপোর গয়ণা, বাড়ির মেয়ের অনলাইন ক্লাসের মোবাইল থেকে ভাতের চাল সব পুড়ে ধূলিসাৎ, দুই মেয়ের বই খাতা, এ্যাডমিট, মার্কসিট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশনকার্ড, জন্মের সংশাপত্র, টাকাপয়সা, চালডাল,বাসন জামাকাপড় , মোবাইল, সমস্ত পুড়ে ছাই।
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তারকবাবুর। সামান্য রোজগার পরিবার নিয়ে কি করবে কোথায় যাবে কি খাবে ভেবে পাচ্ছিল না। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল স্থানীয় ক্লাব পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা। তারকবাবুর হাতে সাত হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় স্থানীয়দের থেকে অনুদান সংগ্রহ করে, স্থানীয়দের তরফে সমীর রায় অনুদান হস্তান্তর করেন, পল্লীমঙ্গলের তরফে একমাসের মুদিখানা, জামাকাপড়, শীতবস্ত্র, কম্বল, মশারি তুলে দেওয়া হয় গতকাল রাতেই, স্থানীয় ১টি ফাঁকা বাড়িতে অসহায় পরিবারটিকে আপাদত থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
আগুনে নিশ্চিহ্ন অসহায় পরিবারে পাশে থাকার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে পল্লীমঙ্গল সমিতির পাশাপাশি আরো কয়েকটি সংগঠন, বড়শুল কিশোর সংঘের তরফে পার্থ ঘোষ জানান “তারকবাবুর বড় মেয়ে সুতপা দাস রাজ কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। তার অনলাইন ক্লাস চলছে। তার হাতে এ্যানড্রয়েড মোবাইল সেট তুলে দিলাম, সাথে মুদিখানা, শীতবস্ত্র, কম্বল, মশারি দেওয়া হল। পরবর্তী সময়ে সবকরমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো। পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক জানান “তারক বাবুর ছোট মেয়ের বই খাতা সহ ভস্মীভূত বাড়িটি মেরামতির জন্য তারা পাশে আছে, সবরকম ব্যবস্থা হবে”।