আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সুন্দরবনে বাড়লো মাছরাঙার সংখ্যা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: এবার সুন্দরবনে বাড়লো মাছরাঙার সংখ্যা। জানুয়ারি মাসে যে পাখি শুমারি হয়েছিল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ। তাতেই বলা হয়েছে, গত তিন বছরে সাতটির মধ্যে পাঁচটি প্রজাতির কিংফিশারকে অনেক বেশি সংখ্যায় দেখা গিয়েছে। তার থেকেই অনুমান করা যায়, সুন্দরবনে মাছরাঙার সংখ্যা বেড়েছে। ম্যানগ্রোভ জঙ্গল, নদী, খাঁড়ি এলাকায় খালি চোখে তাদের দেখা যাচ্ছে ভালো সংখ্যায়।

তবে দু’টি প্রজাতির মাছরাঙা তুলনামূলক কম দেখা গিয়েছে। টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, পাখিপ্রেমী ও টাইগার রিজার্ভের আধিকারিকরা ঘুরে যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন,সেই হিসেবই রেকর্ড হয়েছে। এমন হতেই পারে যে এর বাইরে বহু মাছরাঙা চোখে পড়েনি। এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বা অল্প সংখ্যায় রয়েছে কি না, তা নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আরও কয়েক বছর ডেটা সংগ্রহ করতে হবে। তাতে যদি দেখা যায়, সংখ্যা একই আছে, তখন এনিয়ে আরও নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন আছে।

দেশে ১২টি প্রজাতির কিংফিশার রয়েছে। তার মধ্যে শুধু সুন্দরবনেই দেখা যায় সাত ধরনের মাছরাঙা। এবার জানুয়ারি মাসে তিনদিন ধরে যে পাখি শুমারি হয়েছে, তাতে সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপড কিংফিশার। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৩৬টি এই প্রজাতির মাছরাঙা দেখা গিয়ে ছিল। পরের বছর বেড়ে হয় ৪৫।

সেই জায়গায় ২০২৫ সালে ২০৭ টি ব্ল্যাক ক্যাপড কিংফিশার দেখা গিয়েছে।পাশাপাশি ৭৫টি কলার্ড কিংফিশার দেখেছেন শুমারি করতে আসা পাখিপ্রেমী ও আধিকারিকরা। গতবার ১১টি দেখা গিয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মাছরাঙা নজরে এসেছে তাদের শিকার করার মুহূর্তে। তবে মাত্র একটি স্টর্ক বিল্ড কিংফিশার দেখা গিয়েছে গোটা সুন্দরবনে।

এছাড়াও কম দেখা গিয়েছে ব্রাউন উইংগড কিংফিশারও।পাখিদের সংরক্ষণ বা তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো দরকার জরুরি বলে মনে করছেন টাইগার রিজার্ভের কর্তারা। তাই ‘পাখিমিত্র’ নিযুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মূলত পাখিদের বাসস্থানের এলাকা গুলিতে নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে তাঁদের। কীভাবে এই পাখিদের সুরক্ষিত রাখা যায়, সেটাই হবে ‘পাখিমিত্র’দের মূল কাজ।পাখি প্রেমীরা বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি

See also  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিদেশি প্রযুক্তিতে সুন্দরবনে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ঘর

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি