উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় দফায় বাদ পড়তে চলেছে প্রায় ২৫০০ জন উপভোক্তার নাম। বাংলার বাড়ির প্রথম দফার কাজ শেষ করে দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় উপভোক্তাদের যাচাই প্রক্রিয়ার কাজ শেষ লগ্নে। তাতে বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি উপভোক্তার নাম বাদ যেতে চলেছে। কারণ, যে শর্তে এই বাড়ি পাওয়ার কথা, তাঁরা তা পূরণ করতে পারেননি বলে জানা গেল।
অর্থাৎ, কারও পাকা বাড়ি রয়েছে, কেউ আবার ভালো আয় করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেল, যখন উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করতে সমীক্ষা করা হয়, তখন ওই সব মানুষজনের বাড়িঘর হয়তো ছিল না। কিন্তু পরে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অনেকেই। তাই যাচাই পর্বে তা ধরা পড়েছে। ফলে ওইসব উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাংলার বাড়ির প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক বাড়ি নির্মাণ হয়েছে এই জেলায়। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক লক্ষ ৯৪ হাজার উপভোক্তার বাড়ি সত্যি প্রয়োজন কি না, সেটা যাচাই করা হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাথার উপর পাকা ছাদ নেই বলে রিপোর্ট দেন অফিসাররা। সেই মতো তাঁরা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের সমীক্ষক দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে ও অভিযোগ। তাঁদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ছল করে বেড়ার বাড়িতে থাকেন বলে জানান। এছাড়াও কিছু মানুষ নিজে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন তাঁদের কাঁচা বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন পাকা বাড়ি বানিয়েছেন।জেলার মধ্যে কাকদ্বীপ ও বারুইপুর ব্লকে সব থেকে বেশি উপভোক্তার নাম বাদ যেতে চলেছে।
পাশাপাশি, বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় পর্যায়ের যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলেই পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে যোগ্য উপভোক্তাদের বাড়ির টাকা দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে যাঁরা টাকা পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখনও বাড়ির কাজ শেষ করে উঠতে পারেননি।তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা রাজ্যের মধ্যে লক্ষাধিক বাড়ি শেষ করে নজির গড়েছে।জেলা প্রশাসন চাইছে সুষ্ঠু ভাবে এই কাজ শেষ করতে।








