আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের আগমন আটকাতে নাইলনের বদলে এবার স্টীলের নেট লাগাতে চলেছে বন দফতর

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু,উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনে লোকালয়ে বারবার বাঘ ঢুকে পড়ছে।ভয়ে আতঙ্কিত সুন্দরবনে মানুষ।বাঘ ঢোকার পরে নাইলনের জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে ফেলে বনকর্মীরা।তার পরে ও জাল ছেঁড়া জায়গা দিয়ে বাঘ ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। আর তাই এবার পাকাপোক্ত ভাবে স্টীলের নেট লাগানোর পরিকল্পনা করলো বন দফতর।সাম্প্রতিক কালে সুন্দরবনের মৈপীঠের নগেনাবাদ ও কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামে বেশ কয়েকবার বাঘ চলে আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।

তাই এবার ওই জালকে পাকাপোক্ত করতে নাইলনের বদলে স্টিলের নেট বসানোর উদ্যোগ নিলো বন দফতর। ঠিক হয়েছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ একযোগে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বসাবে এই বিশেষ স্টিলের নেট। পুরো কাজটাই হবে ব্যাঘ্র প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে।নাইলনের জালের ক্ষেত্রে সমস্যা হল, সেটি প্রতি বছর বদলাতে হয়। কারণ ঝড় জলে ওই জাল ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া যে কেউ ওই জাল কাটতে পারে। ঘন ঘন নতুন জাল বসাতে বাড়তি খরচ বহন করতে হয় সরকারকে।

স্টিলের জাল লাগালে তা অনেক বছর পর্যন্ত চলবে। এটি তাড়াতাড়ি যেমন নষ্ট হবে না,তেমনই কেউ জাল কাটার সুযোগও পাবেন না। এর আগে কুলতলির অল্প কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে স্টিলের ফেন্সিং বসানো হয়েছিল। এখনও তা দিব্যি টিকে আছে।সুন্দরবনের দুই বিভাগের মধ্যে কোথায় কত কিলোমিটার জাল লাগানো হবে, তা অবশ্য এখনও স্থির হয়নি। সূত্রের খবর, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এলাকায় তুলনামূলক বেশি জাল লাগানো হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের অধীনে রামগঙ্গা, মাতলা এবং রায়দিঘি রেঞ্জে বাছাই করা বেশ কিছু অংশে নতুন স্টিলের জাল লাগানোর কথাবার্তা হয়েছে।

বিশেষ করে রায়দিঘি রেঞ্জের চিতুরি বিট এলাকায় যেহেতু মাঝে মধ্যেই বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া যায়, তাই সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এখানে ৪১ কিলোমিটার জঙ্গল এলাকায় স্টিলের নেট লাগালে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অন্যদিকে,এসটিআরের সজনেখালি, বসিরহাট রেঞ্জ সহ আরও কিছু এলাকায় জাল বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে টাইগার রিজার্ভের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিনের বলেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকে জাল লাগানোর কাজ শুরু হবে।এই কাজ শেষ করতে কয়েক মাস লাগবে।তবে শীতকালের আগে বেশিরভাগ জায়গায় এই ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।বর্তমানে ঘন ঘন লোকালয়ে চলে আসছে বাঘ।আর তার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামে।

See also  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার এ করোনা আবহে অর্ডার না পেয়ে মাথায় হাত মৃৎশিল্পদের

যাতে বাঘ লোকালয়ে আসতে না পারে, সেই কারণে নাইলনের জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছিল জঙ্গল এলাকা। নাইলনের জাল তেমন টেকসই না হওয়ায় অনেক জায়গাতেই তা কেটে নদী ও খাঁড়িতে মাছ কাঁকড়া ধরতে যান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। এই ফাঁককেই কাজে লাগিয়ে গ্রামের মধ্যে চলে আসছে বাঘ।আর তাই এই ব্যবস্থা গ্রহন করছে বন দফতর।তবে এর জন্য স্থানীয় মৎস্যজীবিদের কোনো অসুবিধা হবে না বলে বন দফতর সূএে জানা গেল।

আর এই ব্যাপারে মিঠুন মন্ডল,ইলিয়াস সেখ, লক্ষ্মীবালা দাস সহ একাধিক মৎস্যজীবি বলেন,বন দফতরের এই উদ্যোগ খুব ভালো উদ্যোগ, তবে এর জন্য আমাদের মাছ কাঁকড়া ধরার যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে দিকটা বন দফতর দেখলে ভালো হয়। কারন আমাদের এর ওপর সংসার চলে।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি