কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে রাজ্য সরকারের মূল্যবোধের পার্থক্য আজ আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগ থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলছেন, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘মহাত্মা গান্ধী প্রকল্প’। এই সিদ্ধান্তই বাংলার রাজনৈতিক ও নৈতিক অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিল—এমনই মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ অপার্থিব ইসলাম।
তিনি বলেন, “এটাই মূল্যবোধ, এটাই সম্মান। মহাত্মা গান্ধী কেবল একজন নেতা নন, তিনি ভারতের আত্মা। তাঁর নামকে সম্মানের সঙ্গে বহন করা মানেই দেশের ইতিহাস ও আদর্শকে সম্মান জানানো”। অপার্থিব ইসলামের অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের ইতিহাস থেকে গান্ধীর অবদানকে লঘু করার চেষ্টা করছে।
জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রমাণ করেছেন যে তিনি রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির ঊর্ধ্বে উঠে জাতির মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেন। গরিব মানুষের কর্মসংস্থান ও আত্মসম্মানের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর নাম যুক্ত করে রাজ্য সরকার এক ঐতিহাসিক ও নৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তাঁর কথায়, “এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি শুধু উন্নয়নের কথা বলেন না, উন্নয়নের সঙ্গে আদর্শ ও সম্মানকেও জুড়ে দেন। গান্ধীজির নামে প্রকল্প চালু করা মানে তাঁর দর্শনকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা”।
এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলার মানুষ আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন—কে ইতিহাস ও মূল্যবোধকে সম্মান করে, আর কে তা মুছে ফেলতে চায়।








