বর্ধমানে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলা ও আসামে যে পরিমাণ বন্যা হয়, তা অন্য কোথাও হয় না।” তিনি সতর্ক করে দেন যে আগামী দুই-তিন দিনে আবার বর্ষা আসছে এবং এই পরিস্থিতিতে ডিভিসির জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
বাংলার বন্যা: পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ
বাংলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি ঘটছে। ডিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। গঙ্গা অ্যাকন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল, এবং ডিভিসির কার্যক্রম এখনও পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেও কার্যকরী পদক্ষেপের অভাব দেখা দিয়েছে।

বিষয়বস্তু তালিকা
- বাংলার বন্যা: পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ
- মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
- বন্যা ক্ষয়ক্ষতি এবং সহায়তা
- কেন্দ্রের ভূমিকা ও সমালোচনা
- উপসংহার
সরকারের উদাসীনতা
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হচ্ছে না, যা বন্যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই আমাদের জল ছাড়তে হয়, যা আমাদের জন্য বিপদের কারণ।”
বন্যা ক্ষয়ক্ষতি এবং সহায়তা
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলী, হাওড়া, নদীয়া, এবং দুই ২৪ পরগনা জেলা শস্য ভাণ্ডার। জলপ্লাবিত জমির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের জন্য শস্য বীমা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে।
সহায়তার পরিকল্পনা
এদিন তিনি জানান, কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সার্ভে শুরু হয়েছে এবং ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, ধান কেনার ক্ষেত্রে কোনরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
কেন্দ্রের ভূমিকা ও সমালোচনা
মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে ৫ লক্ষ পুকুর কাটানো হয়েছে, কিন্তু জল নিকাশি ব্যবস্থা যথাযথভাবে কাজ না করায় সমস্যা হচ্ছে।”
উপসংহার
বাংলার বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, এবং সরকারের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সহায়তা এবং কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে এই বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কতা এবং দিকনির্দেশনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।