কৃষ্ণ সাহা ( খন্ডঘোষ ) :- “সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল”, এই বাক্যটি প্রমাণ করে দেয় যুব সমাজের ওপর ফুটবলের প্রভাব। তবে করোনা আবহে গৃহবন্দি যুবসমাজ মোবাইল গেমে মত্ত। সেইজন্যই বিস্তৃত মাঠ গুলি আজও ফাঁকা পড়ে থাকে। মোবাইল মুখী যুবসমাজকে মাঠমুখি করে তুলতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, পাঁচটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে ফুটবল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ।
খণ্ডঘোষ এর নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে নিজের হাতে ফুটবল বিতরণের পাশাপাশি তিনি যুব সমাজকে পুনরায় খেলার মাঠে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান। যুব সমাজের আগমনে আগাছায় ভরে যাওয়া খেলার মাঠ গুলি যাতে আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় তার জন্য চেষ্টা করছেন বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ। রেজিস্ট্রিকৃত ক্লাবগুলোকে আগেই 5 লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

এদিন বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ বলেন, “গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন যে সমস্ত রেজিস্ট্রিকৃত ক্লাব গুলি টাকা পেয়েছে সেই সমস্ত ক্লাবগুলোকে পাঁচটা করে বল দেওয়া হবে এবং সেই ক্লাব গুলি যাতে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা চালু করেন,সেই উদ্যোগ গ্রহণের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী কাল ঘোষণা করেছেন।” তাঁর কথায়, “গ্রামের বয়স জ্যেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী মানুষেরা তারা সকলেই এখন সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেছেন।
তৎকালীন সময়ে অনেকগুলি পলি প্যাকেট একসাথে বেঁধে সেটাকেই ফুটবল হিসেবে খেলা হতো। বাচ্চা ছেলেরা সেই খেলাতেই মত্ত থাকতো। এখন ইন্টারনেট ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছেলেমেয়েরা এখন খেলার সঙ্গে বেশি যুক্ত নয়। মোবাইলে যে সমস্ত খেলা আছে সেই নিয়েই মত্ত। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেই পদক্ষেপকে খণ্ডঘোষ বিধানসভা খণ্ডঘোষ ব্লকের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।”
অবক্ষয়ের পথে চলে যাওয়া যুবসমাজকে ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
মানবজীবনে ফুটবল খেলার এই গুরুত্ব উপলব্ধি করেই বোধহয় স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন- “গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে।”