উন্নয়ন মূলক কাজের অর্থ খরছে একেবারেই দুর্বল এমন ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন । ১০০ দিনের কাজ ,বাংলা আবাস যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২৫ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারার জন্যই জেলার ২১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রশাসন ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করেছে । লাল সতর্কতা জারি করা পঞ্চায়েত গুলির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য পঞ্চায়েত গুলির নিজস্ব তহবিল থাকা ছাড়াও বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান পেয়ে থাকে ।
সেই অর্থে মিশন নির্মল বাংলা ,১০০ দিনের কাজ ও বাংলা আবাস যোজনার লক্ষ্যপূরণ করার কথা । সেই কাজের মূল্যায়ন স্বরুপ জেলা প্রশাসন চারটে মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিল ।তার মূল্যায়ন শেষে জেলা প্রশাসন ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে ‘লাল কালি’র দাগ দিয়ে দিয়েছে । মূলত নিজস্ব তহবিল ও বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান ২৫ শতাংশও খরচ করতে না পারা পঞ্চায়েত গুলিকেই জেলা প্রশাসন ‘দুর্বল’ বলে চিহ্নিত করে লাল সতর্কতা জারি করেছে। ওই পঞ্চায়েত গুলি ১০০ দিনের প্রকল্প কাজে ৪০ শতাংশের নিচে, বাংলা আবাস যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প কাজের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশের নীচে রয়েছে ।তাই ওই ১৫ টি পঞ্চায়েতকে ‘দুর্বল’ বলে ধরে নিয়ে গত ১ আগষ্ট প্রশাসন ‘লাল সতর্কতা ’জারি করেছে ।
লাল সতর্কতা জারি করা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভাতারের বড়বেলুন ১ (১৪.৭৭%), বর্ধমান ১ ব্লকের বাঘার ২ (১৩.৩২%), গলসি ১ ব্লকের চকতেঁতুল (২৩.১৫%), জামালপুরের জাড়গ্রাম (১৩.৮১%), পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরৎপুর (২০.২৭%), কাটোয়া ১ ব্লকের সুদপুর (২৩.৪১%), কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সিতাহাটি পঞ্চায়েত (২৪.৯৫%) কাজ করেছে । অর্থাৎ এই ৭ টি পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল অর্থ খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে । প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উন্নয়ন কাজে টাকা খরচ করতে না পারায় সবথেকে বেশী টাকা পড়ে রয়েছে নসরতপুর ও জাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিলে । নসরৎপুরে পঞ্চায়েতের তহবিলে রয়েছে ৪ কোটি ও জাড়গ্রামের তহবিলে রয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা । ১ কোটি টাকার বেশী তহবিলে রয়েছে বাঘার ২ ও চকতেঁতুল পঞ্চায়েতের ।
১০০ দিনের কাজে ৪০% লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি সুদপুর, সিতাহাটি, জাড়গ্রাম,গলসির খানো, জামালপুরের আঝাপুর, কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর, পূর্বস্থলীর মুকসিমপাড়া, নিমদহ, মেমারির নিমো ২, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরি, নবগ্রাম পঞ্চায়েত ।প্রশাসনের দাবি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পেও এই ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ‘দুর্বল ’ বলে তালিকাভুক্ত হয়েছে।জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “পঞ্চায়েতে টাকা পড়ে থাকবে অথচ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করবে না,তা মানা হবে না। উন্নয়নমূলক কাজের চারটে বিভাগের মধ্যে কোনও না কোনও বিভাগে শেষের দিকে থাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে ।ওই সব পঞ্চায়েত গুলির বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর মনোভাব থাকবে।“