আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

তাওয়াংয়ে বাড়ছিল বৌদ্ধ ভক্ত এবং পর্যটকদের যাতায়াত, সে কারণেই কি হামলা চিনা সেনার?

krishna Saha

Updated :

WhatsApp Channel Join Now

গত কয়েক বছর ধরেই তিব্বতি বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান ইয়াংৎসেতে যাতায়াত বাড়ছিল পর্যটক এবং ভক্তদের। তাওয়াং নিয়ে বরাবরই ‘স্পর্শকাতর’ চিন তা বরদাস্ত করতে চায়নি বলে মনে করছে সামরিক ও কূটনৈতিক শিবিরের একাংশ। শুক্রবার রাতে চিনা ফৌজের অতর্কিতে অনুপ্রবেশের সেটা ‘কারণ’ হতে পারে বলে ওই অংশের মত।

কয়েক বছর আগে তাওয়াংয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিব্বতি এই ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামা। সে সময় চিন অধিকৃত তিব্বতের লাগোয়া অরুণাচল প্রদেশের ওই অংশে দলাই লামার সফরের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং। নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া অরুণাচলের ওই অংশে রেল যোগাযোগের কথা ঘোষণার পরেও একই ভাবে আপত্তি তুলেছিল চিন। এমনকি, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেলা গিরিপথের সুড়ঙ্গ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র-সহ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করতে তাওয়াংয়ে যাওয়ার সময়ও শি জিনপিং সরকারের ‘রক্তচক্ষু’ দেখা গিয়েছিল।

১৯৬২-র যুদ্ধে তাওয়াং-সহ অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়েছিল চিনা বাহিনী। পরে চিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘সাপ্লাই লাইন’ কেটে যাওয়ার আশঙ্কায় তাওয়াং ছেড়ে ফিরে গিয়েছিল চিনা সেনা। চিনা বাহিনীকে বিনা বাধায় দেশের অনেক গভীরে ঢুকতে দিয়ে ভারত সীমান্ত সিল করে দেবে এবং অরুণাচলে ঢুকে পড়া চিনা বাহিনী নিজেদের দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে— ভারত এমনই পরিকল্পনা করেছিল বলে চিন সে সময় নাকি আশঙ্কা করেছিল। তাই দ্রুত চিনা বাহিনী তাওয়াং ছেড়ে ফিরে যায়, কিন্তু তাওয়াং-এর উপর নিজেদের দাবি চিন এখনও ছাড়েনি। অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশকে তারা দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে।

See also  ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আবু বকর পুলিশের জালে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি