দেরি করে এসেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের স্কুলে ঢুকতেই দিলেন না প্রধান শিক্ষক। ফলে ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা। জলপাইগুড়ির কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের ঘটনা।মঙ্গলবার ঘড়িতে তখন ১০ টা ৪০ মিনিট। স্কুলের ক্লার্ক না আসায় গেট বন্ধ ছিল। ফলে পড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়ে স্কুলগেটে। এরপর গেট খুললে স্কুলে প্রবেশ করে পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, শিক্ষকদের ১০ টা ৫০ মিনিটের আগে স্কুলে প্রবেশ করার নিয়ম। কারণ ১০ টা ৫০ মিনিটে স্কুলের প্রার্থনার লাইন হয়। এরপর বেলা ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হয়।
মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাইস্কুলে দেখা গেল, ১১ টা ০৫ মিনিট পার হয়ে গেলেও স্কুলে আসেননি কয়েকজন শিক্ষক। এরপরই স্কুলগেটে তালা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে এসে দেখেন, গেট বন্ধ। এরপরই ফোন করে গেট খোলার অনুরোধ করেন। তবে স্কুলের তরফে গেট খোলা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের এই কড়া পদক্ষেপে অস্বস্তিতে পড়েন দেরিতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অস্বস্তিতে পড়ে অদ্ভুত সাফাই দিতেও দেখা গেল তাঁদের।
একজন শিক্ষক জানালেন, তিনি অস্থায়ী শিক্ষক। আরেকজন শিক্ষিকার দাবি, রেলগেটে আটকে পড়ায় দেরি হয়েছে আসতে। বিপাকে পড়ে এদিন ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ শর্মা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুয়াঝাড় রেলগেটে আটকে গিয়েছিলেন ক্লার্ক। তাই আজ স্কুল খুলতে দেরি হয়েছে। ভবিষ্যতে আর দেরি হবে না। পাশাপাশি শিক্ষকরা স্কুলে দেরি করে কেউ এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি সতর্কতা দেন।প্রধান শিক্ষকের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা।