এই রাজ্যে রেশনে বিনা মূল্যে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। রেশন দোকান থেকে এই চাল বিলিবন্টন নিয়ে
যাতে কোন অনিয়মের অভিযোগ না ওঠে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে খাদ্য দপ্তর । ঠিকঠাক ভাবে বিনা মূল্যের চাল বিলি বন্টন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য জেলায় জেলায় গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স।এদিন থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও টাস্কফোর্স রেশনের দোকানে হানাদারি শুরু করে দিয়েছে। বিনা মূল্যের চাল জেলার সাধারণ মানুষ জন রেশন দোকান থেকে সঠিক পরিমাণে পাচ্ছেন কিনা সেটাই তারা খতিয়ে দেখেন ।
জেলার কালনা মহকুমা টাস্কফোর্স এবং মন্তেশ্বর ব্লকের টাস্কফোর্স এদিন সকাল থেকে মন্তেশ্বর ব্লকের বিভিন্ন রেশন দোকানে হানা দেয় । ওই টাস্কফোর্স টিমে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস,মন্তেশ্বরের এডিএ কনক দাস,ওসি সৈকত মন্ডল,ফুড ইন্সপেক্টর দেবাশিস সেন সহ অন্যান্য অফিসাররা।জেলার অন্যান ব্লকেও টাস্কফোর্স এদিন একই রকম ভাবে রেশন দোকানো হানাদারি চালায় ।
করোনাপরিস্থিতির মধ্যেই মন্তেশ্বরের বিভিন্ন এলাকার উপভোক্তারা রেশনের খাদ্যসাগ্রী ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয়েছিলেন ।সেইসব অভিযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এদিন টাস্কফোর্স টিম মন্তেশ্বরের সিহিগ্রাম,মাঝেরগ্রাম বাজার,পুরগুনা ও দেওয়ানগাদি এলাকার রেশন দোকান গুলিতে হানাদেয় ।
সেখান থেকে টাস্কফোর্স টিম যায় মন্তেশ্বরের জামনা, পিপলন,কুসুমগ্রাম,
মামুদপুর, বামুনপাড়া, পুটশুড়ি,দেনুড়,ভাগড়া-
মূলগ্রাম, বাঘাসন ও শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রেশন দোকানগুলিতে। সরকারী সমস্ত নিয়মকানুন মেনে রেশন দোকানদাররা রেশন দিচ্ছেন কিনা তা তাঁরা খতিয়ে দেখেন । রেশন নিতে আসা প্রত্যেক উপভোক্তাকে টাস্কফোর্স টিমের সদস্যরা অনুরোধ করেন খাদ্য সামগ্রী নির্দিষ্ট পরিমান মত দেওয়া হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখে নেবার । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরে সবাইকে রেশন নিতে আসার কথাও তাঁরা জানিয়েদেন । ভিড় এড়াতে গ্রাম ভিত্তিক নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে রেশন দোকানদারদের খাদ্য সামগ্রী বিলির নির্দেশও এদিন দেওয়া হয়েছে । এমন হানাদারি চলবে বলে জেলা খাদ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে ।