প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাঁকুড়া জেলার এক্তেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষিজীবী সুকদেব চ্যাটার্জী রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আজ সফল পশুপালক। মধ্যবয়স্ক সুকদেবের পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত জন। পরিবারের মূল জীবিকা কৃষিকাজ,মৎস্য চাষ ও পশু পালন। যা রোজগার হয়, তাতে ভালোভাবেই চলে যায় সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির।
সুকদেব বাবু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হন ২০২১ সালে একটি সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে এবং পরিচয় ঘটে ফাউন্ডেশনের জেলা প্রতিনিধি সুজয় পাঠকের সাথে। লকডাউন পরবর্তী কালে যখন এলাকায় বাণিজ্যিক ফার্মের জন্য মুরগির বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছিলো না, তখন সুজয় বাবুর পরামর্শেই বর্ধমান থেকে সুকদেব ১৬০-টি সোনালী ও করকনাথ প্রজাতির মুরগি ক্রয় করে চাষ করেন। পাখির ক্রয়মূল্য ও খাবারের খরচ বাবদ মোট বিনিয়োগের পরিমান ছিল প্রায় ২১,০০০/- টাকা।
কিন্তু কিছুদিন পর রোগাক্রান্ত হয় প্রায় ৬০-টি মুরগি মারা যায় এবং আরো কিছু মুরগি অসুস্থ হয় পড়ে। এই কঠিন সময় ত্রাতা হয় দাঁড়ায় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। সুজয় বাবুর পরামর্শে সুকদেব বাবু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর নিশুল্ক সহায়তা নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০-তে কল করেন এবং রিসোর্স পার্সন -এর সাথে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সুকদেব বাবুর সমস্যার কথা শুনে ফাউন্ডেশনের রিসোর্স পার্সন প্রয়োজনীয় ওষুধের সুপারিশ করেন। সুকদেব সেই মতো ওষুধ প্রয়োগ করার পর তিন দিনের মধ্যে ১০০-টি মুরগি সুস্থ হয় ওঠে -যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৩,০০০/- টাকা।
উপকৃত সুকদেব আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, “” গ্রাম বাংলায় আমরা অনেক সময়ই সঠিক সময় সঠিক প্রাণী চিকিৎসার পরিষেবা পাই না। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় আমরা। কিন্তু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন ভার্চুয়াল ট্রেনিং এবং হেল্পলাইন পরিষেবা এই অভাব অনেকটাই মিটিয়েছে। আজ আমাদের কৃষি বা পশুপালনের কোনো সমস্যা হলে সহজেই হেল্পলাইনের মাধ্যমে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সমাধান খুঁজে পাই “”