পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৭ দিন যেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করে নির্বাচন কমিশন। এই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ শুভেন্দুর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু আগামী ৫ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্ট। তাই ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশের আবেদন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। দুপুর ২ টায় শুভেন্দু অধিকারী আবেদনের শুনানি প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে।
এর আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আপাতত জটমুক্ত হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে এই মুহূর্তে কোন হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। যদিও শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছিল সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না। এমনই পর্যবেক্ষণ ছিল প্রধান বিচারপতির।কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট, বিচারবিভাগীয় নজরদারিতে ভোট সহ অন্য আবেদনগুলির জন্য নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেয় আদালত।পঞ্চায়েত ভোটে আসন সংরক্ষণ নিয়ে কমিশনের কাজে খামতি আছে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগকে মান্যতা প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। তবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর কোনও হস্তক্ষেপ এই মুহূর্তে করেনি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ‘হাইকোর্ট প্রত্যাশা রাখে নিয়ম মেনে আসন সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন”, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকায় কলকাতা হাই কোর্টের কাছে আরও ৭ দিন সময় চাইলেন তিনি।