কৃষকসেতু,উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : বাসের মধ্যে দিয়ে শিক্ষাবিস্তারে বিজ্ঞান প্রদর্শনী, ঘুরছে স্কুলে স্কুলে।সাধারণ যাত্রীবাহী বাসকে একেবারে বদলে ফেলা হয়েছে খোলনলচে। তার ভিতরেই সাজিয়ে রাখা রয়েছে বিজ্ঞানের ছোট-বড় নানা মডেল। বাসের বাইরের অংশেও নানা মডেল দিয়ে সাজানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী নিয়ে সেই বাসটিই ঘুরছে স্কুলে-স্কুলে।

র উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহায়তায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়াতে এই ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি সুন্দরবনের কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলে এই প্রদর্শনী।হয়ে গেল। উদ্যোক্তারা জানান, চলতি মাসে কুলতলি ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে ঘুরবে বাসটি।

উদ্যোক্তারা জানান, কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কী ভাবে কাজ করে, সৌর শক্তি থেকে কী ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, মোবাইল ফোন কী ভাবে কাজ করে ইত্যাদি নানা জিনিস মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। ছাত্র ছাত্রীরা মডেল চালিয়ে হাতে কলমে সেই সব বিষয় বুঝে নিতে পারছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি, যখন যে স্কুলে বাসটি দাঁড়াচ্ছে, সেখানে বিজ্ঞান নিয়ে নানা কর্মশালার আয়োজনও করা হচ্ছে,পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত নানা ভিডিয়ো দেখানো হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের।
টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশ দেখানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।উদ্যোক্তাদের তরফে রূপম দাস বলেন,প্রত্যন্ত এলাকার এই সব ছেলেমেয়েদের কাছে বিড়লা মিউজিয়ামে গিয়ে সায়েন্স শো সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রদর্শনী দেখার সুযোগ কম। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই ভ্রাম্যমান বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে ঘুরে আমরা বিজ্ঞানের পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করছি।আর এই প্রদর্শনী ঘিরে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ছিলো চোখে পড়ার মত।স্কুলের ফাঁকে ভিড় করে প্রদর্শনী দেখছে তারা।সায়েন্সশো গুলিতেও অংশ নিচ্ছে অনেকে।
এব্যাপারে কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন,প্রত্যন্ত এই এলাকায় এখনও শিক্ষার প্রসার পুরোপুরি হয়নি। মানুষের মধ্যে নানা কুসংস্কারের প্রভাব রয়েছে। সেই জায়গায় এ ধরনের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রদর্শনী ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই কার্যকর।ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান বিকাশে এই ধরনের প্রদর্শনী খুব দরকার আছে।