আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বিকল্প চাষের সহায়তায় রাজ্য সরকার

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 বর্ধমান : জেলায় এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমান কম। বোরো চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল তার তুলনায় চাষ কম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় যেসমস্ত জমিতে ধান চাষ হয়নি সেখানে বিকল্প চাষে সহায়তা করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাল শস্য ও তৈলবীজ বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি, বিভিন্ন মরশুমে ফলের চারাও বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, জেলায় বোরো মরশুমে মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ৮১ হাজার হেক্টর জমি। বৃষ্টির অভাবে সঠিক সময়ে চাষ শুরু করা না গেলেও পরবর্তীকালে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় জুলাই মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় ১৬ শতাংশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই পরিস্থিতিতে চাষ না হওয়া উঁচু জমিতে বিকল্প চাষ হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ডাল, তৈলবীজ ও মারসুমি ফলের চারা লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দফতর। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলা পরিষদ থেকে প্রতিটি ব্লকের চাষিদের এই বীজ ও ফল বিতরণ করা হবে। মোট ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের জন্য ডাল শস্য ও তৈল বীজ দেওয়া হবে। এছাড়া, ২ লক্ষ হিমসাগর ও আম্রপালি প্রজাতির আম গাছের চারা বিতরণ করা বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বারোমাস ফলন হয় এই ধরনের কাঁঠাল গাছের চারা ৩০ হাজার, ৫০ হাজার মুসাম্বি গাছের চারা, দেশি জামের ২০ হাজার ও ৭০ হাজার ভালো জাতের নারকেল গাছের চারা বিতরণ করা বলে।পাশাপাশি, বিকল্প ফল বা লাভজনক ফলের চাষ হিসেবে ১৫ হাজার মালটার, ৩০ হাজার ড্রাগন ফ্রুট, ৫০ হাজার আপেল কুল ও ৫০ হাজার মুসাম্বি ফলের চারা বিতরণ করা হবে।

See also  সন্ধ্যা মুখ্যোপাধ্যায়কে দেখতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির কর্মাধক্ষদের মাধ্যমের জেলার ২৩ টি ব্লকে এই চারা বিতরণ করা বলে। এর জন্য জেলা পরিষদ থেকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। সেই ফর্ম পূরণ করে আবেদন জানাতে হবে। এরজন্য আবেদনকারীকে আঁধার কার্ডের প্রতিলিপি ও জমির নাথি সহ আবেদন জানাতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন,” রাজ্য সরকার বিকল্প চাষে উৎসাহ বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রচলিত চাষের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি চাষেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আগের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ বরাদ্ধ করা হয়েছে। চলতি বছরে যে সমস্ত এলাকায় বৃষ্টির অভাবে ধান করা কম হয়েছে। সেই জেলায় বিকল্প চাষে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিকল্প চাষের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে।”

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল জানান, ” রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প চাষে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের মাধ্যমে এই চারা বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। যে সমস্ত উঁচু জমিতে জলের অভাবে বোরো চাষ করা সম্ভব হয়নি। সেই এলাকার চাষীরা এই বিকল্প চাষের সুবিধা নিতে পারবেন। এরফলে জেলার অনেক চাষী উপকৃত হবেন। জেলায় বিকল্প চাষের পরিমান আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।”

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি