বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভারতীয় সেনা এবার গঠন করল নতুন ধরনের ব্রিগেড। শত্রুপক্ষকে কড়া জবাব দিতে যে বাহিনী তৈরি করা হয়েছে, তার নাম ‘রুদ্র’। পাশাপাশি গঠিত হয়েছে আর এক শক্তিশালী স্পেশাল ফোর্স ‘ভৈরব’। কারগিল বিজয় দিবসের দিন এই নতুন সেনা ইউনিট দুটির কথা ঘোষণা করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
বদলেছে লড়াইয়ের ধরন, তাই সময়ের দাবি মেনেই সীমান্তে সেনা গঠনে আসছে নতুনত্ব। নতুন এই ইউনিট পাকিস্তান ও চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে আশাবাদী সেনা কর্তারা। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, “বর্তমানে ভারতীয় সেনা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।” সেই কারণেই ভবিষ্যতের যুদ্ধকে মাথায় রেখে সেনাকে আধুনিকীকরণের পথেই এগোনো হচ্ছে। এই অল আর্মস ব্রিগেডে একাধিক ইউনিট একত্রিত করা হয়েছে— যেমন পদাতিক, ট্যাঙ্ক ইউনিট, কামান ইউনিট, সাঁজোয়া ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স ও ড্রোন বিভাগ। এই ব্রিগেড যে কোনও সীমান্ত হামলায় তাৎক্ষণিক পাল্টা আক্রমণে সক্ষম।

তবে এখানেই শেষ নয়। ‘ভৈরব’ নামে নতুন স্পেশাল ফোর্সও তৈরি করা হয়েছে। এদের প্রধান লক্ষ্য হবে সীমান্তে শত্রুর উপর হঠাৎ করে আক্রমণ হেনে তাদের শেষ করে দেওয়া। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই ইউনিট পাহাড়ি ও জঙ্গলের যুদ্ধক্ষেত্রে পারদর্শী। এদের হাতে থাকবে MP5 সাবমেশিন গান, দেশীয় ড্রোন বোমা সহ হালকা কিন্তু মারাত্মক অস্ত্র। কুয়াশা কিংবা অন্ধকারে লুকিয়ে আক্রমণ চালাতে, বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই ফোর্সকে। এই ইউনিটের মূল দায়িত্ব হবে, শত্রুর রসদ সরবরাহ বন্ধ করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া। ‘ভৈরব’ বাহিনী LOC ও LAC সীমান্তে মোতায়েন থাকবে বলে জানা গিয়েছে।