হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন চেতেশ্বর পূজারা। রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন বার্তায় নিজের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই প্রশ্ন জাগে সমর্থকদের মনে—কেন এত আকস্মিক এই অবসর? কয়েকদিন আগেই তো জানিয়েছিলেন, আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে চান।
অবসর ঘোষণার পর এক সাক্ষাৎকারে পূজারা বলেন, “আমি খুব বেশিদিন ধরে অবসর নিয়ে ভাবিনি। গত সাত দিনে একটু ভেবেছি, এটাই অবসর নেওয়ার জন্য একেবারে সঠিক সময়। তাই আজ যখন এই সিদ্ধান্তটা নিলাম, সেটা আমার এবং আমার গোটা পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এটা একেবারেই আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি ঘরোয়া ক্রিকেটে তরুণদের সুযোগ পাওয়া উচিত। ভেবেছিলাম এবার রনজি খেলব। কিন্তু পরে মনে হল, তরুণরা যদি এখন থেকেই সুযোগ পায় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি করে প্রস্তুত হতে পারবে।”

সেই সাক্ষাৎকারে পূজারা আরও বলেন, “গত কয়েকবছর আমি ভারতীয় দলের সদস্য ছিলাম না। তবে ওই সময়টা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” এই মন্তব্য নিয়েই নতুন করে জল্পনা। তবে কি তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই? শোনা যাচ্ছিল, সৌরাষ্ট্রের হয়ে আগামী মরশুমে রনজি খেলার পরিকল্পনা করছিলেন পূজারা। কিন্তু হঠাৎ করেই দলীপ ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন তিনি। সেখান থেকেই কি ইঙ্গিত পেয়েছিলেন দ্রাবিড়ের ‘যোগ্য’ উত্তরসূরি? বুঝতে পেরেছিলেন, যতই ভালো খেলুন না কেন, জাতীয় দলে আর সুযোগ আসবে না?
উল্লেখযোগ্য বিষয়, ৩৭ বছরের পূজারা ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ সালের জুনে—যা ছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেই ম্যাচে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তারপর থেকে জাতীয় দলে আর ফেরার সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে গেলেও ভাগ্য ফেরেনি। তাই কি শেষ পর্যন্ত অভিমানে ব্যাটিং জীবনের সমাপ্তি টানলেন পূজারা? উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।