ঐন্দ্রিলা হালদার
রায়না 1
‘ধর্ম ‘শব্দটি বর্তমানের অতি প্রচলিত শব্দগুলোর মধ্যে একটি।এই শব্দটি রাজনৈতিক মহলে ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে।’ধর্ম ‘নিয়ে প্রত্যেকের মতামত বিভিন্ন। আমরা,সাধারণ মানুষেরা ধর্ম বলতে বুঝি-হিন্দু,মুসলিম,খ্রিস্টান ইত্যাদি।স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন -কর্মই ধর্ম। ধর্ম নিয়ে আলোচনায় জড়িয়ে পড়লে অন্তিম অবধি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।যাই হোক,একটু আমার কথা বলি–
বাবা মুসলিম ,
মা হিন্দু,
আমার চোখে সব ধর্ম সমান।আমাদের সমাজে বিবাহিত মহিলাদের স্বামীর ট্র্যাডিশন মেনে চলতে হয়।কিন্ত আমার মা একজন স্বাধীনচেতা মহিলা এবং বরাবরই নিজের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেন।।হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের রিচুয়ালস মেনে চলেন।মায়ের কাছে শিখেছি কীভাবে পরনির্ভরশীল না হয়ে একা লড়ে সব কিছু ছিনিয়ে নিতে হয়।আমার মা কে অনেক কটুক্তি, সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।এই সমাজ সমালোচনা করতেই পছন্দ করে।ফুটপাতে অনাথ শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে ভোগে।অর্থের অভাবে শিক্ষার অঙ্গনে পৌছাতে পারেনি।এদের কেউ জিজ্ঞেস করে না এদের ধর্ম কী!! এদের কেউ নিজের ধর্মে এনে আপন করতে পারে না।বড় বড় শিক্ষার মঞ্চে, রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে , কখনো ফেসবুকের মাধ্যমে মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে অনেকে নেতা সাজে।কেউ হিরো সাজে।
তো কেউ হিরোইন।আবার কেউ নিজের পকেট গোছাতে ব্যস্ত।প্রকৃত শিক্ষক কে ? শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এত কন্ট্রোভার্সি কেন ? এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা এত কম !!!!! প্রধানমন্ত্রীর বারংবার বিদেশ যাত্রা কীসের ইঙ্গিত??রাস্তার শিশুরা রাস্তাতেই পড়ে আছে।।আদৌ কি হচ্ছে দেশের উন্নতি ??? দেশের শিল্পপতিদের পকেট ভরালেই কী দেশের উন্নতি সম্ভব ?? হিন্দুরাষ্ট্র করার দিকে এত প্রবণতা কেন ?? আমাদের দেশ তো সর্ব ধর্ম সমন্বিত দেশ।এক এবংঅনন্য।।
কই ফুটপাতের অনাথ শিশুদের তো মোটিভেট করার কেউ নেই। ওদের একটাই মোটিভেশন- লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে।এই সকল প্রশ্নের উত্তর যেদিন আমরা খুঁজতে শুরু করব,,পাশ্চাত্যের অনুকরণ না করে যেদিন দেশগঠনকারীরা, আমরা,এই সমাজ সকলেই ঐ ফুটপাতের বস্তির ছেলে টার কথা ভাবতে শুরু করব , তাদেরকে বিদ্যালয় মুখী করতে পারব ,সেদিন এই সমাজ উন্নতি ধাপে পা দেবে।আমাদের দেশমাতৃকা অগ্রগতির চূড়ায় পৌঁছবে।
মনুষ্যত্বই ধর্ম।
ঐন্দ্রিলা হালদার
নামটা শুনে খটকা লাগছে?? হিন্দু না মুসলিম??
আমার নাম,আমার পরিচিতি,আমার দেশ আমার ধর্ম। ।