পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক মানবিক মুখ। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা গোটা রাজ্য ব্যাপী। আর তার জন্য পুলিশি প্রহরার মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষা করা ভাবে বিশেষ গাইডলাইন মেন্টেন করে পুলিশ প্রত্যেকটা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ঠিকঠাক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঠিক সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপর। বিভিন্নভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই সহায়তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায়। সাধারণ যাত্রী সহ প্রত্যেকটা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিশেষভাবে সহায়তা প্রদান করছে রাস্তায় নেমে পুলিশেরই কর্মীরা। তার পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও বিশেষ মানবিক মুখ দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান আরামবাগ সাত নম্বর রাজ্য সড়ক সহ বিস্তীর্ণ এলাকাতে।
রাস্তায় নেমে যে সকল পুলিশ অফিসাররা তার পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়াররা ডিউটিরত অবস্থায় রয়েছে তাদের সহায়তার পাশাপাশি পাশে দাঁড়িয়ে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে এবং সি আই সি, খণ্ডঘোষ ও রায়না থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের উপস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অর্থাৎ ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার এর পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদেরকে ছাতা, জল , গ্লুকোন ডি এবং ইলেকটোল পাউডার দিয়ে তাদের সহায়তা প্রদান করছে এসডিপিও। বিশেষভাবে কয়েকদিন আগেই শীত ছিল শীত পড়তেই দিনের বেলায় অতিরিক্ত চাঁদি ফাটা গরম রয়েছে। আর এই গরমের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এসডিপিও তথা বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তিনি এগিয়ে এলেন মানবিক মুখ দেখাতেই।
রাস্তার মাঝখানে ফাঁকা আকাশের নিচে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে রোদের মধ্যে যেসকল কর্মীরা ডিউটি করছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্লুকোজ এবং জল ইলেকটোল পাউডার ও ছাতা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায় বলে জানা গেছে বুধবার দিন। এদিন উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও অভিষেক মন্ডল, সিআইসি তপন কুমার বসাক, খণ্ডঘোষ থানার ওসি পঙ্কজ নস্কর ও রায়না থানার ওসি নিমাই ঘোষ।
তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করা কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই মানবিক মুখ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। তাদের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মনোবল বাড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সহায়ক হবে।এই সুন্দর উদ্যোগের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ।