ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব আনতে চলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আলোচনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দু’ঘণ্টা সময়।

তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এই প্রস্তাব ঘিরে কোন কোন বিধায়ক দলের পক্ষ থেকে বক্তৃতা করবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে আলোচনায় কোনওভাবে বিতর্ক তৈরি না হয়, সেই কারণে অত্যন্ত সতর্কভাবে বক্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেছে নেওয়া হয়েছে এমন বিধায়কদের, যাঁদের বক্তব্য সর্বসম্মত ও সংযত হবে।
বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন—
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
- অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
- বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা
- মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর
- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন।
তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। সূত্র বলছে, আলোচনায় সবচেয়ে বেশি সময় বরাদ্দ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য।
এদিকে, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হলেও, এই আলোচনা থেকে নতুন কোনও বিতর্ক এড়াতেই চাইছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সামরিক পদক্ষেপের রাজনীতিকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। তবে এবার বিধানসভায় সেনাকে সম্মান জানানোর এই আলোচনায় দল চাইছে কোনও নেতাই যেন বেফাঁস মন্তব্য না করেন।
অন্যদিকে, বিজেপিও তাদের বক্তাদের তালিকা তৈরি করছে। সূত্রে জানা গেছে, বক্তাদের মধ্যে থাকতে পারেন—
- বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
- মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ
- অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী
- আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল
মঙ্গলবার সকালে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বক্তাদের বিষয়ে। সার্বিকভাবে, এই আলোচনা যাতে সৌজন্যপূর্ণ হয় এবং সেনার প্রতি সর্বদলীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের রূপ নেয়, সেই দিকেই নজর রাখছে বিধানসভা।