২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে সাংগঠনিক পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ পরিবর্তন এসেছে বীরভূমে, যেখানে জেলা সভাপতি পদই বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই রদবদলের মূল কেন্দ্রবিন্দু অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট, যিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের বীরভূম জেলার প্রধান মুখ ছিলেন। কেষ্টর পদচ্যুতি এবং নতুন কোর কমিটির গঠনের ফলে জেলার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
কীভাবে বিলুপ্ত হলো জেলা সভাপতি পদ?
অনুব্রত মণ্ডলের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে জেলার নেতৃত্বে তৈরি হয় শূন্যতা।গরু পাচার মামলায় তাঁর গ্রেফতারি ও তিহার জেলে থাকা অবস্থায়ও তিনি পদ আঁকড়ে ছিলেন। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে দল গঠন করে একটি কোর কমিটি। ফলে ধীরে ধীরে প্রশ্ন উঠতে থাকে নেতৃত্বের কার্যকারিতা নিয়ে।

কোর কমিটির উত্থান ও দ্বন্দ্বের সূচনা
🟢 H3: কাজল শেখ বনাম অনুব্রত মণ্ডল
- অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন কাজল শেখ
- কাজল বর্তমানে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি
- জেল থেকে মুক্তির পর অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে
- দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে
📌 H3: কোর কমিটির গঠন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৯ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটিতে রয়েছেন:
- আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় (চেয়ারপার্সন)
- অনুব্রত মণ্ডল
- কাজল শেখ
- অভিজিৎ সিনহা
- বিকাশ রায়চৌধুরী
- চন্দ্রনাথ সিনহা
- সুদীপ্ত ঘোষ
- ও আরও দুই সাংসদ
বীরভূমে জেলা সভাপতি পদ বিলুপ্ত করে কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাব ও কাজল শেখের উত্থান রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। এই নতুন গঠনতন্ত্র তৃণমূলকে একত্রিত করবে, না কি দ্বন্দ্ব আরও বাড়াবে — সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।