পারিজাত মোল্লা ,

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পদিমপুর গ্রামে প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় মসজিদে এক দোওয়ার মজলিস বসে। শতাধিক ধর্মপ্রাণ এই দোওয়ার মজলিসে ছিলেন। প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা কর্মজীবনে একাধারে সাংবাদিক – অতিথি অধ্যাপক – শিক্ষক হিসাবে যেমন কর্মজীবন কাটিয়েছেন , ঠিক তেমনি অপরদিকে আইনজীবী – সর্বপরি ৩০ টা বছর রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বিচারক ছিলেন তিনি ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ‘প্রথম ব্যাচে’ এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক কাগজে সাংবাদিকতা করেন তিনি।এরপর কাটোয়ার কাশিরাম দাস ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। কাটোয়া কলেজে পলিটিকাল সায়েন্সের অতিথি লেকচারার ছিলেন একদা তিনি। এরপর কাটোয়া মহকুমা আদালতে প্রখ্যাত আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জুনিয়র’ হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করে গেছেন ।

১৯৮৩ সালে রাজ্যের জুডিশিয়াল পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে ছিলেন মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা ।সদর বর্ধমান, আরামবাগ, কালনা,সিউডি, দাঁতন,আলিপুর,আলিপুরদুয়ার,বসিরহাট, মেদনীপুর,গড়বেতা,শ্রীরামপুর প্রভৃতি আদালতে সিভিল / ক্রিমিনালে বিচারক হিসাবে ছিলেন তিনি।রাজ্য আইনমহলে তাঁর রায়দান এখনও আলোচিত হয়। ২০১৬ সালে এই দিনে প্রয়াত বিচারক পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পদিমপুরে নিজ বাড়িতে মারা যান।তাঁর পৈতৃক ভিটা ছিল কাটোয়ার শ্রীখণ্ড এলাকায়।
২০১৭ সাল থেকে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি তাঁর স্মরণে সম্মান প্রদান করে থাকে। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের এজিপি আনসার মন্ডল, আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংংরায় – মাধব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মত ব্যক্তিত্বরা সম্মানিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার বড় ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন (নন এডভোকেট মিডিয়েটর – কলকাতা হাইকোর্ট) মহাশয়।