বাজারে কাঁচা সবজির পাশাপাশি আলুও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এরই মধ্যে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের রাস্তায়। তাদের অভিযোগ ভিন রাজ্যে আলু বোঝাই লরি গেলে বর্ডার ও চেকপোস্টে গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব জেলার সভাপতি উত্তম পাল বলেন, একেবারে বেআইনি ভাবে গাজোয়ারি করে প্রশাসন আলু বোঝাই লরি বর্ডারে আটকে দিচ্ছে। হিমঘর থেকে একশো বস্তা আলু বের করার পর বাছাই করে ৪০ বস্তার মত মোটা আলু বের হয়।বাকী ৬০ বস্তা আলু ছোট, মাঝারি ও ক্যাঁট বের হয়।
এই বড় আলু আমাদের রাজ্যে বিক্রি হয়।কিন্তু ছোট বা ক্যাঁট জাতীয় আলু আমাদের রাজ্যে বিক্রি হয় না।ওই আলু মূলত বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিক্রি হয়।কিন্তু সেই আলু আটকে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বারে বারে প্রশাসনের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় নি।তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতির পথে গেছি।
বাজারে এখন খুচরো আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে।সোমবার আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির প্রভাব না পড়লেও মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলুর জোগান কমবে। সেই ক্ষেত্রে বাজারে আলুর দাম উদ্ধমুখী হবার চূড়ান্ত সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উত্তম পাল আরো বলেন তাদের ডাকা কর্মবিরতিতে হিমঘর মালিকরাও সামিল হয়েছেন।ফলে বাজারে আলুর জোগান কমবে এবং দাম বাড়বে।তাঁর পরিস্কার বক্তব্য প্রশাসন তাদের দাবী না মানলে তাদের কর্ম বিরতি অনিদিষ্ট কালের জন্য চলবে। তিনি বলেন, শনিবার আমাদের এই নিয়ে বৈঠক হয় সেখানে রাজ্যব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাট,বরাকর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় আলু বোঝাই লরি আটকে দেওয়া হচ্ছে।
ফলে আলু কি মহার্ঘ হবে, এই শঙ্কার দোলা চলে সকলেই।
জেলার হিমঘর গুলিতে তালা ঝুলছে। হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না। ফলে বাজারে আলুর জোগান কমবে আর সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ।এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিয় কুমার দাস জানান,আমি বাইরে আছি। আগামীকাল এই নিয়ে আলোচনা করা হবে।