প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৫ আগষ্ট
পূণ্য ভ্রমণ সেরে আর বাড়ি ফেরা হলনা। ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য হল দুই মহিলা সহ ১০ জন পূণ্যার্থীর। জখম হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন।তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। শুক্রবার সকালে বর্ধমানের নবাবহাট সংলগ্ন ফাগুপুরের কাছে ১৯ নম্বর জাতীর সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছৈ । মৃত ও জখমরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। জখমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডকেল কলেজ হাসপাাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারী বাসে চেপে বিহারের মতিয়ার জেলার চিরাইয়া সরসওয়াঘাট এলাকার ৪৫ জন বাসিন্দা পূণ্য ভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন।দেওঘর সহ বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘোরার পর বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগরে পূণ্য স্নান সারেন পূণ্যার্থীরা। এরপর কলকাতা ঘুরে বাসে চেপে পূণ্যার্থীরা এদিন বিহারে ফিরছিলেন । পূর্ব বর্ধমানে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাবার সময় বর্ধমানের ফাগুপুরের কাছে বাসটি সড়ক পথে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে । তাতে পূণ্যার্থী বোঝাই বাসটির সামনের দিকের বেশ কিছুটা অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় । ঘটনাস্থলেই ১০ জন প্রাণ খোয়ান । মৃতর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জখমদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, বাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। কয়েকজন শিশু সহ প্রায় ২৫জন জখম বাসযাত্রীকে এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে আনা হয়েছে। জখমদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা সংকটজনক রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ বর্ধমান হাসপাতালে পৌছান । জখমদের চিকিৎসার ব্যপারে তিনি খোঁজখবর নেন । জেলাশাসক জানান , জখমদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত ১০ জনের দেহ বিহারে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করে দেব।