১ নভেম্বর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সমস্ত সিপিসি (CPC) কেন্দ্রে ধান ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে জোর কদমে। চলতি বছরে জেলার প্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার চাষি ধান বিক্রির জন্য তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাষিরা কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত জমির পরিমাণ বা বিডিও কর্তৃক অনুমোদিত জমির ভিত্তিতে ধান বিক্রি করতে পারবেন। এ বছর প্রতি কুইন্টাল ধানের সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩৬৯ টাকা। প্রতি চাষি সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন।
ধান বিক্রির টাকা নিয়ে যাতে কোনও অনিয়ম না হয়, তার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, ধান বিক্রির তিন কার্যদিবসের মধ্যে চাষিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে। জেলা খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন জানিয়েছেন, “সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই চলছে। ধান জমা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
তবে, কিছু এলাকায় মিল মালিক ও বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। পূর্ববর্তী বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসন পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর মনোভাব নিয়েছে।

👉 মূল পয়েন্টসমূহ:
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু ১ নভেম্বর থেকে
২ লক্ষ ১৪ হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত
প্রতি কুইন্টাল ধানের দাম ২৩৬৯ টাকা
প্রতি কৃষক সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল বিক্রি করতে পারবেন
বিক্রির ৩ কার্যদিবসের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে টাকা












