আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

রাতারাতি বাড়ি বদলে হয়ে গেল আস্ত একটা থানা ।

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষ্ণ সাহা ( খণ্ডঘোষ ) :- ছিল অনুষ্ঠান বাড়ি। বিয়ে সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হোত সেই বাড়ি। রাতারাতি সেই বাড়ি বদলে হয়ে গেল আস্ত একটা থানা । সৌজন্যে করোনা। করোনা আবহে খণ্ডঘোষ থানার কাজকর্ম চলবে এই অনুষ্ঠান বাড়ি থেকেই ।এক সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হলেন থানার ১৮ জন আধিকারিক-কর্মী।

খণ্ডঘোষ থানার ওই আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ থাকায় চার জনকে কোভিড-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের ‘হোম আইসোলেশন’-এ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই থানার ওসি মাস দেড়েক আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে গত মাসে কাজে যোগ দেন। শনিবার ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’-এ তিনি ফের করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন জানার পরে, চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য-কর্তাদের।

Krishaksetu Bangla

এক সঙ্গে এত জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত খণ্ডঘোষ থানা ভবন বন্ধ রেখে পাশের একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে দৈনন্দিন কাজ চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, আগে খণ্ডঘোষে কাজ করেছেন, এমন কর্মী-অফিসারদের এই পরিস্থিতিতে সেখানে কাজ করতে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খণ্ডঘোষ থানার চার জন অফিসার ও কর্মীর শুক্রবার রাতে করোনা-রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে।

সে জন্য শনিবার ওই থানার ৫০ জন কর্মী-আধিকারিকের মধ্যে ১৮ জনের ‘র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ হয়। তার মধ্যে ১৪ জনেরই রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। আজ, রবিবার বাকি পুলিশকর্মী ও অফিসারদের করোনা পরীক্ষা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এক সঙ্গে থানার ১৮ জন পুলিশকর্মীর করোনা-আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রথম করোনা-আক্রান্ত ধরা পড়ে খণ্ডঘোষেই।

মাসখানেক আগে খণ্ডঘোষ থানার ভবন থেকে কিছুটা দূরে এক জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। প্রতিটি পরিস্থিতিতেই পুলিশকর্মীদের সামনে সারিতে থাকতে হয়েছে। এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করা থেকে প্রচার, বা গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজও পুলিশকে করতে হয়েছে। তার সঙ্গে দৈনন্দিন নানা কাজ, বহু মানুষের সঙ্গে দেখা করা, তদন্তের কাজে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। পুলিশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ওসি করোনা-আক্রান্ত হওয়ার পরে, থানা জীবাণুমুক্ত করা হয়। তাঁরা ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’ ব্যবহার করেছেন ঠিকই, কিন্তু থানার গাড়িগুলি সে ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি বলে তাঁদের একাংশের দাবি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, এক সঙ্গে এত জন পুলিশকর্মী কী ভাবে আক্রান্ত হলেন, তা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।

 

See also  ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটিকে অতিথির পদ গ্লোবাল এক্সপোর পক্ষ থেকে

আরো পড়ুন-গাছের-ভেতর-গাছের-বাস ! এখুনি দেখে নিন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি