কলকাতা লিগে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। যদিও ওই ম্যাচে দুই দলের মূল তারকাদের উপস্থিতি কম ছিল, অধিকাংশই জুনিয়র দলে খেলা ফুটবলাররা। সেই কারণে রবিবারের ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালেই মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচের রূপ ধরা দিয়েছে। বড় ম্যাচ মানেই স্নায়ুর চাপ ও উত্তেজনা। তবে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বিশেষভাবে চিন্তিত নন। তিনি জানিয়েছেন, 'যে টিম আমাদের রয়েছে তাতে বড় ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'
ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও আশাবাদী, 'দল লড়াই করার জায়গায় আছে'
।
মরশুমে মোহনবাগানের সিনিয়র দল মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছে। সব ফুটবলারই উপস্থিত হননি, আর যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে সবাই ম্যাচ ফিট নন। একসঙ্গে দীর্ঘ অনুশীলনের অভাবে দলের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হতে দেরি হতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সৃঞ্জয় মন্তব্য করেছেন, 'মরশুমের শুরুর দিকে এত বড় টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে দু’দল খেলছে। কিছু সমস্যা হবেই। তবে সেই ডিসঅ্যাডভান্টেজ দুই শিবিরেরই।'
তিনি আরও বলেন, 'বড় ম্যাচ সবসময় আলাদা। বাড়তি স্নায়ুর চাপ থাকে। কিন্তু আমাদের যা টিম আছে, তাতে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।'
তিনি মেনে নিয়েছেন যে ইস্টবেঙ্গল এবার শক্তিশালী দল গড়ছে, তবে নিজের দলের ওপরও তার বিশ্বাস রয়েছে।

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও আশাবাদী। তিনি বলেছেন, 'ডার্বির দিন সকালে যে দল চাঙ্গা থাকবে, সেই দলই জিতবে। গত বছরও আমাদের দল ভালো ছিল। চোটের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। এ বছর দল আরও ভালো। আশা করি এবার আমরা লড়াই করার মতো জায়গায় আছি।'
ডার্বির আগে লাল-হলুদ শিবিরকে একটি ধাক্কা লাগে, যখন মহম্মদ রশিদের পিতৃবিয়োগ ঘটে। তিনি দেশে ফিরে গিয়েছেন। তবে দেবব্রত বিশ্বাস করেন, তা বিশেষ সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, 'পেশাদার ফুটবলে এগুলো হয়। আমি আশা করব বাকি ফুটবলাররা এই ম্যাচটা জিতে রশিদের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।'
অতীতে ডুরান্ড ডার্বির টিকিট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল একাধিকবার আয়োজকদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছে। এ বছরও টিকিটের ক্ষেত্রে সেই পরিচিত উত্তেজনা দেখা গেছে। দেবব্রত সরকার এই বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে নারাজ। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস টিকিটের চাহিদাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, 'ডার্বিতে টিকিটের চাহিদা থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। এই ডার্বিই তো বাংলার ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।'