কৃষ্ণ সাহা ( রায়না ) :- পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির আহবানে অনশন কর্মসূচি আজ ১ নভেম্বর ২৭ তম দিনে পা দিল। গত ৬ অক্টোবর শ্যামসুন্দর মহাবিদ্যালয় এর গেটের সামনে মঞ্চ তৈরি করে অনশন শুরু করেছিলাম।অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন এর জন্য ২৭ তম দিনে উপস্থিত হলেন এ ডি এম (শিক্ষা) হুমায়ুন বিশ্বাস, এসডিও সুদীপ ঘোষ, এস ডি পি ও আমিনুল ইসলাম খান, ভিডিও সৌমেন বণিক, ওসি পুলক মন্ডল।
পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি সৈকত নেগেল বলেন আমাদের ৬০ বছর চাকরির সুনিশ্চিত এবং নিরাপত্তার জন্য আমরা অনশনে বসেছি। নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো, সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা এবং ৩৯৯৮ এফ (p২) সরকারি আদেশ নামা পশ্চিমবঙ্গ কলেজ কেজুয়েল এমপ্লয়িজ সমিতি র মধ্যে যাতে লাগু হয় সেই জন্যই আমাদের এই আন্দোলন। পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী বন্ধুরা আমাদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। তারমধ্যে আমরা আটজন অস্থায়ী কর্মচারী বৃন্দ অনশন আন্দোলনে নেমে ছি। আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের এই অনশন চলবে।
আশাকরি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের এই আন্দোলনে সহমত পোষণ করবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর আগামী ৬ তারিখের পর যদি আমাদের এই দাবি মেনে না নেয় তাহলে আগামী দিনে আমরা স্বেচ্ছামৃত্যুর বরণ করব। এডিএম জেনারেল হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন সমস্ত বিষয় আলাপ-আলোচনা করার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টি জানাবো এবং আশা করছি এই দাবি সরকার লাগু করতে পারেন অর্থাৎ এদের দাবি মেনে নিতে পারেন।
প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এই আন্দোলনকারীদের বলেছি আগামীকাল এরপর কি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন অতি অবশ্যই আমাদের জানান। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির সভাপতি মেহবুব ইলাহি আলীবলেন শান্তিপূর্ণ ভাবে আমরা অনশন আন্দোলন করছি পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় আমরা আশা করছি সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর আমাদের এই দাবি অতি অবশ্যই মেনে নেবেন।তিনি আরো বলেন কোনো ভাবেই যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে আগামী দিনে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের গেটে আমরা স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করব।