উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: জয়নগরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।তবে এই খুনের ঘটনায় বিজেপির যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে শাসক তৃনমূল কংগ্রেস। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি।ভর সন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই খুনের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার রাজাপুর করাবেগ পঞ্চায়েতের মহিষমারির গুমুবেড়িয়া এলাকায়।
মৃতের নাম জয়ন্ত মণ্ডল (৪১)।তিনি জয়নগর থানার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।তবে তিনি বর্তমানে জয়নগর থানার হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়নগর এলাকায় থাকতেন।স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি, বিরোধী বিজেপিরা পরিকল্পনা করে এই খুন করেছে।মৃতের আত্মীয় তথা বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, এই খুনের সঙ্গে বিজেপির লোকজন জড়িত আছে।তবে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্করের দাবি, নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের কারণেই জয়ন্ত মণ্ডল খুন হয়েছে।
নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে এই খুনের পর তৃণমূল কংগ্রেস এখন তার দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি।বৃহস্পতিবার রাতেই এলাকায় গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।শুক্রবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, মহিষমারি এলাকার অনন্যা ইট ভাটার জয়েন্ট মালিক ছিলো জয়ন্ত।এদিন সন্ধ্যায় ইটভাটার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। জয়ন্তকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।প্রাথমিকভাবে একে পরিকল্পিত খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। এই খুনের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এই খুনের পরে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় শুক্রবার ও সেখানে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পাশাপাশি যারা এই খুন করেছে তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।তবে শুক্রবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি এই ঘটনায় বলে পুলিশ সূএে জানা গেল।








