জ্যোতির্ময় মন্ডল ,পূর্ব বর্ধমান:-
গত দিনকয়েক আগে মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ লালন শেখ কে জামনা পঞ্চায়েত এলাকার ইশনা গ্রামের তার বাড়ির সংলগ্ন দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধোরের ঘটনা ঘটেছিল ।

এই ঘটনায় লালন শেখ এর স্ত্রী আহিনুর বেগম মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছিলেন তার অভিযোগ ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকে লালন কে বেধরক মারধর করে এবং একটি টোটোয় চাপিয়ে জোরপূর্বক তাকে কুসুম গ্রামে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝপথে পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সদস্যার স্বামী সাবির খান সহ চার জন কে গ্রেপ্তার করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।

অসুস্থ লালন শেখকে বাড়িতে
দেখা করতে আসেন মন্তশ্বরের বিধায়ক তথা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
লালন শেখকে দেখার পর , তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর কাছে দেখা করতে লালনের বাড়িতে উপস্থিতান গ্রামের অনেকেই। ছিলেন গ্রামের ইমামও। এলাকায় যেন কোন অশান্তি না হয় সে বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী। লালন শেখের বাড়িতে আধঘন্টা থাকার পর সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী কুসুমগ্রাম হয়ে মামুদপুর এক নম্বর অঞ্চলের রাইগ্রাম হাটতলায় গোরাচাঁদ বাবার মসজিদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণের মাঠে উপস্থিত হন।

বাজারে উপস্থিত বেশকিছু সমবেত মানুষজনের সাথে তিনি রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষিত পাড়ার সমাধান প্রকল্পের কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা এবং দাবী আদায়ের বিষয় সম্পর্কে সচেতন করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন সমবেত মানুষজন। মন্ত্রির সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য আজিজুল হক, মেমারি দু’নম্বর ব্লকের সভাপতি হরিসাধন ঘোষ।তারপর মন্ত্রী গোরাচাঁদ বাবার মসজিদে নামাজ পড়ে এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সদস্য আজিজুল হকের বাড়িতে চা চক্র কর্মসূচিতে যান।

এই দিনের কর্মসূচিতে প্ জেলা পরিষদের সদস্য আজিজুল হক ছাড়া , এলাকার কোন জন প্রতিনিধি বা দলের কোন নেতা কর্মীকে মন্ত্রীর আজকের এই কর্মসূচিতে দেখা যায় নাই।