প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৭ জানুয়ারি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বড়লোক আদানি ও আম্বানিদের দালাল বলে কটাক্ষ করলেন
বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের গোপিনাথবাটিতে অনুষ্টিত তৃণমূলের জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে শুর চড়ান অনুব্রত মণ্ডল।

জনসভা মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন ,
নরেন্দ্র মোদি দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য কিছুই করেনি । মোদি হচ্ছে বড় লোকেদের দালাল । আদানি , আম্বানিদের দালাল । বিজেপি গোটা ভারতবর্ষটাকে শেষ করেদেবে । ওরা দেশের চাষিদের সর্বনাশ করছে ,রেল বিক্রি করে দিচ্ছে ,কয়লা খনি বিক্রি করে দিচ্ছে। বিজেপি গুজরাট থেকে আদাবাসীদের মেরে তাড়িয়েছে । মোদি মুখে যা বলে করে ঠিক তার উল্টো। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য ৬৯ টি প্রকল্প চালু করেছেন ।সেই কারণে আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে । ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২২০ থেকে ২৩০ আসনে জয়লাভ করবে। আর এরপর বিজেপি বাংলা থেকে সাফ হয়েযাবে বলে অনুব্রত মণ্ডল এদিন দাবি করেছেন ।
বিজেপির পাশাপাশি এদিন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই- ইত্তেহাদুল মুসলিমিন(মিম )পার্টির
সমালোচনাতেও মুখর হন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন ,“’মিম’ বলে একটা দল আছে।হায়দ্রাবাদ থেকে আসছে।এরা বিজেপির বড় দালাল।এরা ‘নেমক হারাম’। এরা বিজেপির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছে।সভায় উপস্থিত মুসলিম মানুষজনকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন ,‘মিম ’ কে বিশ্বাস করবেন না।’একই সঙ্গে অনুব্রত দাবি করেন ,বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কেউ এনআরসি করতে পারবে না। কেন্দ্রের লাগু করা কৃষি আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চটে যান বীরভূমের বেতাজ বাদশা । তিনি বলেন , ওরা বাবার জমিদারি পেয়েছে নাকি। পাঞ্জাবের কৃষকরা এই ঠাণ্ডায় দিল্লিতে রাস্তায় বসে আছে।অথচ মোদি চুপচাপ,ঢ্যামনা সাপের মত রয়ে আছে। ওদের লজ্জা করে না!

জনসভায় বক্তব্য রাখা শেষে অনুব্রত মণ্ডল
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন । এবারের বিধানসভা ভোটে দাওয়াই কি থাকবে ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত এদিন বলেন,’ গ্রামের চালু ভাষায় যাকে বলে ‘পগার পার’। ’সেটা কেমন দাওয়াই হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতর ব্যাখ্যা,’ আরাম করে হবে , দেখার মত হবে । একটু ছুটবে । পায়ে , গায়ে হাটেপায়ে , কোমরে বেদনা হবে।’ ডিক্সেনারি খুলে ‘পগার পারের ’এই ব্যাখ্যা দেখে নেওয়ার কথাও সাংবাদিকদের জানান অনুব্রত । বেসুরো গাওয়ার পরেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দি রায়কে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন ,’ দল ভেবেছে তাই করেছে । ওটা দলের ব্যাপার ।