Highlight
- জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: সমস্যা কোথায়?
- কেন এত বড় অর্থের যোগান?
- রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ
- মানুষের উপর প্রভাব ও মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মান
- মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শ
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: সমস্যা কোথায়?
সমস্যার গভীরতা
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে বৈঠক হওয়ার পরেও কোনও সমাধান হয়নি, এবং আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে এসে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।
মন্ত্রীর বক্তব্য
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “তাঁরা কোথায় থামতে হবে তা জানেন না। আন্দোলন অব্যাহত রেখে তারা কি প্রমাণ করতে চায় সেটাই প্রশ্ন।” তিনি আরও বলেন, “ওঁরা কি চান সেটা স্পষ্ট নয়।”
কেন এত বড় অর্থের যোগান?
অর্থের উৎস নিয়ে সন্দেহ
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, যেখানে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার জন্য ১২-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, যা একজন জুনিয়র ডাক্তারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাহলে এই অর্থের উৎস কোথায়?” তিনি এই বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এর পেছনে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর সমর্থন আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ
আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি?
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই আন্দোলনকে রাজনীতির সাথে যুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আপনারা রাজনীতির জন্য ডাক্তারি পেশা ছাড়ুন। যদি রাজনীতি করতে চান, ফিল্ডে নামুন।” তাঁর মতে, আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে এবং এই আন্দোলন শুধুমাত্র ডাক্তারদের জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রতিফলন হতে পারে।
মানুষের উপর প্রভাব ও মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মান
মানুষের সেবা বঞ্চনা ও অসম্মান
এই আন্দোলনের ফলে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি বলেন, “অনেক মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন এবং অনেকেই হয়তো মারা গেছেন।” এছাড়া, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করার জন্য আন্দোলনকারীদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শ
পেশায় ফেরার আহ্বান
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পেশায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপনারা রাজনীতিক দল নন। আপনারা ডাক্তার, আপনার কাজ রোগীদের সেবা করা, রাজনীতি নয়।”