সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ইতিমধ্যেই গোটা দেশের বহু যাত্রীর মন জয় করেছে। ইতিমধ্যেই মোট ১৩ টি ট্রেন চলছে বংলা-সহ গোটা দেশে। তবে সেখানেই শেষ নয় এই ট্রেনের নতুন নতুন রূপে যাত্রা জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এবার আসছে মিনি বন্দে ভারত। এই ট্রেন ছুটবে ১০০ কিমির কম দূরত্বেও।‘সেমি হাইস্পিড ট্রেন’- বন্দে ভারতের এই মিনি ভার্সন ‘বন্দে মেট্রো’ আসতে চলেছে খুব শিগগিরই। আর তাতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লাইনে এই ট্রেন চলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০ কিমির কম দূরত্বে সেই ট্রেন চালানো হবে।দেশের একাধিক শহরে চালু হয়ে গিয়েছে ‘সেমি হাইস্পিড’ ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
এই ট্রেন নিঃসন্দেহে ভারতীয় রেলের মাথায় এক রত্নখচিত মুকুটের দাবিদার। বিলাসবহুল এই ট্রেন নিয়ে গর্বিত খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারইমধ্যে এবার ‘বন্দে মেট্রো’ চালু করার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। যা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের থেকে কিছুটা আলাদা হবে বলে জানা যাচ্ছে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, স্বল্প দূরত্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে ‘বন্দে মেট্রো’ চালানো হবে। এমন দুটি শহরের মধ্যে চালানো হবে, যে শহরগুলির মধ্যে দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের কম। তার ফলে দিনে চার-পাঁচবার চলাচল করতে পারবে। অর্থাৎ কার্যত দ্রুতগতির প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভূমিকা পালন করবে। যাতে অল্প সময় যাতায়াত করতে পারবেন মানুষ। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি আলাদা সংস্করণ হবে বন্দে মেট্রো। যে শহরগুলির মধ্যে, যেমন শিয়ালদা-কৃষ্ণনগরের দূরত্ব ৯৭ কিমি, দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের কম সেগুলির মধ্যে দিনে একাধিকবার বন্দে মেট্রো চলাচল করবে।
দিনে চারবার বা দিনে পাঁচবার চলতে পারবে। যা আরামদায়ক এবং সস্তা হবে। সেই ধাঁচেই বন্দে মেট্রো তৈরি করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের আশপাশে তৈরি হয়ে যাবে।’প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলি চলে, সেগুলি আপ-ডাউন মিলিয়ে দু’বার যাত্রা করে। যেমন – ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়ে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তা দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছয়। তারপর ফিরতি পথে দুপুর ৩ টে ৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়বে। যা হাওড়ায় ঢুকবে রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেভাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে পছন্দ করেছেন মানুষ, সেটার ভিত্তিতেই ‘বন্দে মেট্রো’ চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে স্বল্প দৈর্ঘের যাত্রীরাও এর উপকারিতা ভোগ করতে পারেন। বিশেষত চাকরিপ্রার্থী এবং পড়ুয়ারা ‘বন্দে মেট্রোর ফলে কম সময়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে পারবেন। সেইসঙ্গে লোকাল ট্রেনের যে ভিড় থাকে, সেটা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।’