কৃষকসেতু, কলকাতা: বাংলার আকাশে আবারও ঘনিয়ে এসেছে দুর্যোগের কালো মেঘ। মৌসুমী অক্ষরেখা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নতুন নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে একের পর এক জেলায় ভারী বর্ষণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের উপকূল ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে অবস্থান করছে এবং এটি ধীরে ধীরে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরবে। তবে তার আগে দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব বিস্তার করবেই।
লাল-কমলা সতর্কতা জারি, দুর্যোগ প্রস্তুত ৮ জেলায়
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং হুগলি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
২৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এবং ৩০ জুন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও হুগলি জেলায় খুব ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার উপ-হিমালয় অঞ্চলগুলিতেও ১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগর থাকবে উত্তাল, সমুদ্রে যেতে নিষেধ
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৯ জুন থেকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এবং উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বইবে। এই সময়ে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি, যা বাড়তে পারে ৫৫ কিমি পর্যন্ত। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, ফলে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূল বরাবর এবং তার বাইরের এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতাতেও ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত
রবিবার দিনভর কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। সময়ে সময়ে বৃষ্টি হতে পারে শহর জুড়ে। ডিভিসির জলছাড়ার কারণে আগে থেকেই প্লাবিত বেশ কিছু এলাকা, তার উপর এই অতিরিক্ত বৃষ্টি আবার নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
