গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাজ্যে মধ্যে অনন্য নজীর ৯জন কুমারিকে একসঙ্গে বসিয়ে কুমারি পুজো বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবি সর্বমঙ্গলা মন্দিরে
পূর্ব বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা ৷ রাজ আমলের প্রথা মেনেই ৯ই আশ্বিন প্রতিপদে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমানে আনুষ্ঠানিকভাবে শারদ উৎসবের সূচনা হয়। মঙ্গলবার কুমারী পুজোর মাধ্যমে পুজো শেষ হলো।
দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নবকুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ৯ জন কুমারী মেয়েকে সাজিয়ে তাদের সিংহাসনে বসিয়ে ৯ জন ব্রাহ্মণ দিয়ে পূজা করা হয় দীর্ঘ বহু বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে এই কুমারী মেয়ে। এক থেকে দশ বছরের মধ্যে এই নটি কুমারী মেয়ে পূজিত হয়।
এইদিন বর্ধমান পৌরসভার চেয়্যারমেন পরেশ চন্দ্র সরকার আলতা সিঁদুর ও আরও অনান্য জিনিস দিয়ে শুভ সূচনা করেন কুমারী পূজার। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাষ্টি পদের সদস্য মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরোহিত অরুন ভট্টাচার্য বলেন, কুমারী পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রতিকৃতি থেকে মা কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কুমারীদের মধ্যেই যে মা দুর্গার অবস্থান সেটি রামকৃষ্ণ দেব উপলব্ধি করেছিলেন এবং ১২৩ বছর আগে সাধক বিবেকানন্দ কুমারী পূজার সূচনা করে।
মা দুর্গার বিভিন্ন নামে কুমারীদের পূজা দেওয়া হয়।বর্ধমান রাজার আমলে এই কুমারী পূজা হতো কিন্তু নতুন করে কিছু সংশোধন করে নটি কুমারী পূজার আয়োজন করা হয় বর্তমানে। এই কুমারী পুজোকে ঘিরে কুমারী হিসাবে সজ্জিত শিশুদের পরিবার খুবিই উৎসাহিত।