কেরলে প্রথমবারের মতো বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার দলীয়ভাবে কেরলের নিলাম্বুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হল সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পিভি আনবরের। কেরলের বিদায়ী বিধায়ক আনবর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে নিলাম্বুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এদিনই তৃণমূল সামাজিক মাধ্যমে আনবরের প্রার্থীতার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছে, দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী কেরলের মাটিতে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নামছে তারা। আনবরকে আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। একই দিনে বিজেপিও তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে — ওই কেন্দ্রে আনবরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোহন জর্জ। বামফ্রন্ট প্রার্থী করেছে সিপিএম নেতা এম স্বরাজকে।
কেরলের রাজনীতিতে আনবরের উত্থান ও অবস্থান ২০১১ সালে এরানাড় কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসাবে ভোটে লড়েন আনবর। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে ফের নির্দল প্রার্থী হন। দু’বারই পরাজয়ের পর ২০১৬ সালে এলডিএফ-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে নিলাম্বুর থেকে জয়ী হন তিনি। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এলডিএফ তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন, এমনকি বিজয়নকে “দুর্নীতিগ্রস্তদের রক্ষাকারী” বলেও কটাক্ষ করেন। এরপর কেরলে বিরোধী জোটে যোগদানের চেষ্টা চালান আনবর, কিন্তু শেষমেশ এসে পৌঁছান তৃণমূলে।
বাংলার বাইরে তৃণমূলের প্রসার ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় ও গোয়ার মতো রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নির্বাচনীভাবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছে তৃণমূল, যদিও উল্লেখযোগ্য ফল মেলেনি। এবার কেরলের মতো দক্ষিণী রাজ্যে প্রবেশের পথ খুলল এই নিলাম্বুর উপনির্বাচনের মাধ্যমে।এক নজরে উপনির্বাচনের বিস্তারিত এ বছরের ১৯ জুন মোট চারটি রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কালীগঞ্জ কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী আলিফা আহমেদ। এছাড়াও গুজরাতের কডী ও বিসাবদর এবং পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রেও ভোট হবে। সমস্ত কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হবে ২৩ জুন।
