প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৬ সেপ্টেম্বর

বাংলার যেখানে যত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র আছে তা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার পুলিশ।গত চার দিনে কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট,কেতুগ্রাম ও কাটোয়া থানার পুলিশ তিনটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি আগ্নেআস্ত্র কারবারে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।উদ্ধার হয়েছে আগ্নেআস্ত্র এবং কার্তুজ।ধৃতরা সকলেরই এখন শ্রীঘর বাসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার ভোররাতে এলাকায় টহলদারির চালাচ্ছিল।ওই সময়ে পুলিশের গাড়ি দেকে পাচুন্দী গ্রামের বাসিন্দা চম্পা মাঝি লুকিয়ে পড়ে। বিষয়টা
সন্দেহজনক ঠেকায় পুলিশ গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে ধাওয়া করে চম্পা মাঝিকে পাকড়াও করে।
পুলিশের দাবি ,তল্লাশিতে চম্পা মাঝির কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেআস্ত্র। তদন্তে অস্ত্র সরবরাহ কাজে চম্পার যুক্ত থাকার কথা পুলিশ জানতে পেরেছে। একই দিনে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ স্থানীয় মল্লিকপাড়া এলাকার যুবক রানা শেখ কে গ্রেপ্তার করে।তার কাছ থেকেও বেয়াইনি আগ্নেআস্ত্র মেলে বলে পুলিশের দাবি। কাটোয়া মহকুমা আদালতে বিচারক দুই ধৃতকেই পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
এই ঘটনার পর দু’দিন কাটতে না কাটতে গত বৃহস্পতিবা রাতে কাটোয়া থানার পুলিশ বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকার বাসিন্দা সুমন গাঙ্গুলিকে অস্ত্র সহ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে । শুক্রবার তাকে
কাটোয়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাটোয়ার কেশিয়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। ওই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছিল কাটোয়া মহকুমার ত্রাস জঙ্গল শেখ। ঘটনার পর থেকে জঙ্গল পলাতক ছিল। সম্প্রতি পুলিশ জঙ্গল শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখকে গ্রেফতার করে।
এরপর সাদ্দামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জঙ্গল শেখকে গ্রেফতার কর তাকে ১১ দিনের জন্য পুলিশ হেপাছতে নেয়। ওই সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলিয়ে পুলিশ বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকার বাসিন্দা সুমন গাঙ্গুলীর কাছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কথা জানতে পেরে তাকে গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেফতারের সাথে সাথে কাটোয়ায় ২০২৩ সালের অস্ত্র মামলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন। এবার এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ঘটনায় আর কেউ যুক্ত ছিল কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।