প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় পথে নামলো জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।বুধবার
সকাল থেকে সংগঠনের সদস্যরা দফায় দফায় পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এদিন জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এদিনের জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভে বেলুড মঠের স্বামী পরমানন্দ মহারাজ ছাড়াও শিখ সংগঠনের বহু পুরুষ ও মহিলারও অংশ নেন। বিক্ষোভের জেরে এদিন জাতীয় সড়কে কলকাতা ও দুর্গাপুর মুখী লেনে সকাল ৯ টা থেকে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি থমকে থাকে ।তার কারণে কোভিড ভ্যাকসিন বোঝাই গাড়িকে অনেকটা ঘুরপথে অভিরামপুর হয়ে বুদবুদ পৌছে বাঁকুড়া যেতে হয় ।এরপরেই সংগঠনের সদস্যদের জতীয় সড়ক থেকে সরাতে স্বয়ং রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী নিজে লাঠি হাতে পথে নামেন ।তা নিয়ে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। শেষমেষ বেলা ১২ টার পর ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হলেও যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দীর্ঘ সময় লেগে যায় ।
অবরোধ বিক্ষোভ চলার সময়েই জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়া একটি ম্যাটাডোর গাড়ির সামনে চড়ে বসে কৃষি আইনের বিরোধীতায় বক্তব্য রাখা শুরু করেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন কৃষকদের কি ক্ষতি করবে সেই বিষয়টি তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন ,‘এই আইন কৃষকদের সর্বশান্ত করেদেবে। জোর করে চাষিদের জমি দখল করবে পুঁজিপতিরা। ফসলের নিয়ন্ত্রণ পুঁজিপতিদের হাতে চলে গেলে কৃত্তিম অভাব দেখা দেবে।’ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন ,কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের রাস্তায় বসে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । তাদের পাশে দাঁড়াতেই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এদিন পথে নেমেছে । এমন আন্দোলন এবার জেলায় জেলায় শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে তিন ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ জমিয়তের
Published :