পূর্ব বর্ধমান জেলা, বিশেষ করে দামোদর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলো বর্তমানে ভয়াবহ বানভাসী পরিস্থিতির সম্মুখীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি একটি “ম্যান-মেড বন্যা”। এআর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, এবং এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ সম্পর্কে।
বিষয়বস্তু সূচী
বন্যার কারণ
ম্যান-মেড বন্যা
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “ম্যান-মেড বন্যা” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ডিভিসির জল ছাড়ার প্রভাব।
বানভাসী এলাকা ও দুর্ভোগ
প্রধান আক্রান্ত এলাকা
হুগলীর আরামবাগ এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর, রায়না ২, গুসকরা, কোরা, শিয়ালী, এবং উজিরপুরে ব্যাপক জল জমেছে। দামোদর নদী উপচে পড়ায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দুর্ভোগের চিত্র
অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বেরিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে ত্রিপল ও খাবারসামগ্রী যথাসময়ে না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও ত্রাণ কার্যক্রম
ত্রাণের ব্যবস্থা
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ভূতনাথ মালিক জানিয়েছেন, ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি হয়েছে, তবে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করছে।
উদ্ধারকার্য
সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যরা অনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে।
কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি
চাষের উপর প্রভাব
জলবন্দি হয়ে পড়া কৃষিজমির ফলে ধান ও সবজি চাষের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দপ্তর ক্ষতির হিসাব করার কাজ চালাচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমানের বানভাসী পরিস্থিতি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনিক উদ্যোগ এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। সরকারী এবং বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত চালু করা জরুরি।