আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ফের লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষ

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

গালওয়ান উপত্যকার প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সংঘাত। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে প্যাংগং লেকের তীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রাধীন এলাকায় ঢুকে পড়ে লাল ফৌজ। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সেনা সূত্রের খবর, সীমান্ত নীতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে প্রবেশ করে পিপলস লিবারেশন আর্মি। বেশ কিছুদিন ধরে প্যাংগং লেকের আশেপাশে হাই স্পিড ইন্টারসেপটর বোট ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এপরেই দক্ষিণ এলাকা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে চিনা ফৌজ।

চিনের সঙ্গে একাধিকবার যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যে সমস্ত কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে উপেক্ষা করেই চিনের এই বাড়বাড়ন্ত বলে দাবী ভারতীয় সেনার।

ইতিমধ্যে উত্তেজনা এড়াতে চুসুলে দুপক্ষের ব্রিগেডিয়ার অফিসার লেভেলের বৈঠক শুরু হয়েছে।

গত সপ্তাহে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ১৯৬২ সালের পর এই প্রথমবার লাদাখে ভারত চিনের মধ্যে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

গত ৪৫ বছর পর এই প্রথমবার ভারত-চিন সীমান্তে সেনা জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দু’দেশের শান্তি এবং বন্ধুত্বের কথা ভেবে ভারত সর্বদা এগিয়ে গেছে।

পুর্ব লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গত তিন মাসের অধিক সময় ধরে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সেনা উচ্চ পদস্থ আধিকারিক পর্যায়ের এবং ডিপ্লম্যাটিক লেভেলের বৈঠক হয়েছে। ১৮ দফার বৈঠকের পরেও এলএসি থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়নি চিন।

প্যাংগং লেক সহ পুর্ব লাদাখের একাধিক এলাকায় লাল ফৌজের সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা হটস্প্রিং সহ একাধিক এলাকায় সেনা সরাতে চায়নি চিন।

গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় সেনা সরালেও দেপসাং এলাকায় চিনা ফৌজের নজরদারি ক্রমশ বেড়েছে। সেইসঙ্গে প্যাংগং লেকের উত্তরে বেশ কিছু এলাকায় চিনা সেনা ছাউনি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকার ১৫ নং পেট্রোলিং পয়েন্টে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষ হয়। যার ফলে ২১ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। ওই সংঘর্ষে ৪০ জন চিন সেনা মারা যান বলে জানা যায়।

See also  মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কামালপুরে দামোদরের চরে আয়োজিত হয় মোরগ লড়াই

এরপর চুসুলে একাধিকবার বৈঠক করেন ভারতীয় সেনার ১৪ নং কোর কম্যান্ডার লেফট্যানান্ট জেনারেল হরবিন্দ্র সিং এবং চিনের শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কম্যান্ডর মজর জেনারেল লিউ লিন। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি।

এর আগে একাধিক দু’পক্ষের সেনার তরফে বৈঠকে মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হতো। কিন্তু গত।মে মাস থেকে ভারতের নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।

পিপি ১০, পিপি ১১, এবং পিপি ১৩ এলাকায় চিনা আধিপত্য বাড়ায় ভারতীয় সেনার মুভমেন্ট একেবারে স্থগিত হয়ে গিয়েছে।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি