প্রদীপ কুমার মণ্ডল, খণ্ডঘোষ, ৯ ফেব্রুয়ারি
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন হল মহাকবি ঘনরাম চক্রবর্তী সাংস্কৃতিক মেলা ২০২৩ খণ্ডঘোষ ব্লকের কৃষ্ণপুর কুকুড়া গ্রামের খেলার মাঠে।মেলা পরিচালনায় কবি ঘনরাম চক্রবর্তী স্মৃতি রক্ষা কমিটি।উদ্বোধন করলেন ভূতপূর্ব অধিকর্তা ই জেড সি সি এবং ভারতীয় জাদুঘর এবং কিউরেটর রবীন্দ্রতীর্থ অনুপ কুমার মতিলাল।অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ডঃ ধনঞ্জয় ঘোষাল,ডঃ সর্বজিত যশ,ডঃ শ্যামল বেরা,অধ্যাপক শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়,মেলা কমিটির সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সদস্য আপর্থিব ইসলাম,জেলা পরিষদের আর এক সদস্য বিশ্বনাথ রায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত কুমার বাগদি সহ অন্যান্যরা। মঞ্চে উপস্থিত বেশির ভাগ অতিথিরা কবির এবং কবির সমসাময়িক বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের জীবনী বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন।
অনুপ কুমার মতিলাল বলেন আজ থেকে ৩০৯ বৎসর আগে যে মহান কবি ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা করেছিলেন তা সত্যই অনবদ্য। কবির সপ্তম বংশধর বিশ্বরূপ চক্রবর্তী এবং ওনার বংশধরেরা সহ এলাকার মানুষদের প্রচেষ্টায় কবিকে স্মরণ করার জন্য যে সুন্দর প্রচেষ্টা সেটা সত্যই অভিভূত করেছে আমাকে। ধর্মমঙ্গল কাব্য পড়ুন কবির এবং জীবনী সম্বন্ধে জানতে চেষ্টা করুন বিভিন্ন লেখকের লেখা বই এর মাধ্যমে তাহলেই কবিকে শ্রদ্ধা জানান হবে। মেলা কমিটির সম্পাদক অপার্থিব ইসলাম বলেন মেলা ২২ বৎসরে পদার্পণ করল এই বৎসর। মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে স্বদেশ কুমার রায় মঞ্চ।
উনি আমাদের মধ্যে আর নেই।কয়েক মাস আগে উনি পরলোক গমন করেছেন।এই মেলা সহ দক্ষিণ দামোদর এলাকার বিভিন্ন মেলার সম্পাদক ছিলেন।সংস্কৃতি জগতের একজন মহান মানুষ ছিলেন। মেলার উদ্বোধনের আগে সমস্ত অতিথিদের নিয়ে ঘনরাম চক্রবর্তীর জন্ম ভিটায় ওনার স্মৃতিসৌধয় মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য দানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে।বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র,আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে শোভাযাত্রা করে কবির জন্মভিটা থেকে উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। মোট চার দিনের অনুষ্ঠান। সাং স্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং যাত্রাপালা থাকছে প্রতিদিন সন্ধ্যায়।