জাল লটারি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে সিআইডি। এই মামলায় এবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থেকে আরও এক জাল লটারি কারবারিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতের নাম লালন শা ওরফে মহম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি জামালপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণসুরা গ্রামের পীরতলা এলাকার বাসিন্দা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে হেপাজতে থাকা রাজকুমার ঢালি ওরফে রাজুকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডির একটি দল লালনের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেই লালনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে ২৯টি ভূটান রাজ্য লটারির জাল টিকিট উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
এই ঘটনায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ধৃত লালন শা ও রাজকুমার ঢালিকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এবং জাল লটারির কারবার সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে লালনকে ১০ দিনের সিআইডি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় তদন্তকারী অফিসার। আদালত দু’দিনের জন্য লালন শাকে সিআইডি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেওয়ার শর্তে রাজকুমার ঢালির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, গত ৩ ডিসেম্বর রায়না বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজকুমার ঢালিকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তাঁর বাড়ি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার তেলিহাটি এলাকায়, বর্তমানে তিনি রায়না বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজার এলাকায় বসবাস করছিলেন। গ্রেফতারের সময় রাজকুমারের কাছ থেকে একাধিক জাল লটারি টিকিট, নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর সিআইডির অভিযোগের ভিত্তিতে রায়না থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ৪ ডিসেম্বর রাজকুমারকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে দু’দিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়। পরে মামলার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে সিআইডির হাতে ন্যস্ত করা হয়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকা রাজকুমারকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের জন্য সিআইডি হেপাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই জাল লটারি চক্রে লালন শার যুক্ত থাকার তথ্য উঠে আসে। সেই সূত্র ধরেই শনিবার রাতে জামালপুর থেকে লালন শাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।








