পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ সেপ্টেম্বর: এসএসসি পরীক্ষার ভিড়ের মধ্যে রবিবার উপস্থিত সকলের মন কাঁদিয়ে দিল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকী-সামাঠ গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত শিক্ষক সুবল সোরেনের স্ত্রী সন্ধ্যা সোরেন তাঁর দুই বছরের কন্যাকে কোলে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বসে ছিলেন। চোখে জল, হাতে স্বামীর ছবি, আর কণ্ঠে গভীর বেদনা – “স্বামী বেঁচে থাকলে তিনিও পরীক্ষায় বসতেন, হয়তো চাকরিটা ফিরে পেতেন।”
সুবল সোরেন যোগ্য তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে পারেননি। গত ১৫ অগস্ট হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকের কারণে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হারিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যার সামনে নেমে এসেছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। তিনি আবেদন জানিয়ে বলেন, “সরকার যেন আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। নাহলে সংসার চালাব কীভাবে? আমার মেয়েকে মানুষ করবো কীভাবে?”

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তাঁর আর্তি শুনে বহু মানুষ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের বেদনা নয়, বরং হাজারো চাকরিপ্রার্থীর সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে আলোচনায় এসেছে। সরকারি মহলে তাঁর আবেদন পৌঁছেছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসএসসি চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই। সুবল সোরেনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।