হোমো স্যাপিয়েন্স
সুদীপা ব্যানার্জী
আমরা হলাম সেই হোমিনিনা উপজাতির একমাত্র বিদ্যমান সদস্য হোমো স্যাপিয়েন্স । অস্তিত্বের তাগিদে, বাঁচার চেষ্টায় সেই প্রথম হামাগুড়ি দিয়ে চলা ,কাঁচা মাংস আর উলঙ্গ জীবনের খোলস ছেড়ে ধীর পদক্ষেপে প্রগতির ধ্বজা কাঁধে মান আর হুশ কে আত্মার অবলম্বন করে পরিচিত হয়েছিলাম মানুষ হিসেবে। স্রষ্টার দানে পেয়েছিলাম দ্বিপদী চলৎশক্তি।পেয়েছিলাম তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন বৃহত্তর মস্তিষ্কের লঘু -গুরু স্নায়ুগুচ্ছ। পৃথিবী শিখিয়েছিল সংঘবদ্ধতা।
তারপর এক সময়ে সভ্যতার মাথায় লজ্জা বস্ত্রের ঘোমটা টেনে তাকে হৃদয়ে ধরে তকমা পেয়েছিলাম সভ্য মানব জাতির ।
সভ্যতার হাতে পায়ে শিকল বেঁধে তাকে বশে এনে করেছিলাম সভ্যতার যথেচ্ছ ব্যবহার । দিনের পর দিন সভ্যতাকে অপমান করে তার গায়ে লেপে দিয়েছি এক রাশ কালো কলঙ্ক ।এক ঝটকায় সভ্যতার লজ্জা বস্ত্র টেনে খুলে তাকে উলঙ্গ করে বানিয়েছি অসভ্য বর্বর । স্বার্থের তাণ্ডবে অট্টহাস্যে দুই হাতে গলা টিপে হত্যা করেছি সভ্যতাকে। মানবতার চিতায় সভ্যতার দাহ করে চোখ ভর্তি নোনা জলে নিভিয়েছি সভ্যতার জলন্ত চিতা ।
মনুষ্যত্ব দু হাতে চটকে সভ্যতার পিণ্ডদানে শান্ত করেছি সভ্যতার অতৃপ্ত আত্মা ।তার পর চোখ আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বলেছি দেখ সভ্যতা দেখ – আমরা হলাম সেই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হোমিনিনা গোত্রের হিংস্র প্রাণী হোমো স্যাপিয়েন্স ।
যাকে বলে মানুষ
হ্যাঁ ,মান আর হুশ হারিয়েও আমরা আজও মানুষ ।
মনুষ্যত্ব বিহীন দানুষ রূপি মানুষ।