আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বড় পর্দায় ‘হরি ঘোষের গোয়াল’

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

রথীন রায় :-  হরি হে দীনবন্ধু, তুমি আমারও বন্ধু বাপেরও বন্ধু ! এসে গেল হরি ঘোষ, শুধুমাত্র হরি ঘোষ নয়, সাথে এলো হরি ঘোষের গোয়াল ! গোয়াল বললেই মনে হয় চার পেয়ে পশুদের থাকার জায়গা যারা বাঁধনহারা, নিয়ম ছাড়া, সৃষ্টিহীন ! তবে এই হরি ঘোষের গোয়ালটা আসলে ছাত্রাবাস, আর ‘হরি ঘোষের গোয়াল” সেই ছাত্রাবাসের নাম ! গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে মফস্বল প্রত্যেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে ছেলে মেয়েকে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার ! আর সেই স্বপ্নকে সফল করার জন্য সেই সমস্ত পরিবারের বাবা-মা সমস্ত রকম কষ্ট স্বীকার করতে, টাকা খরচ করতে প্রস্তুত থাকেন।আর দূর-দূরান্ত থেকে পড়াশোনা করার জন্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেমন খরচ হয়, ঠিক তেমনি সময়ও নষ্ট হয় !

 

সে কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় হোস্টেলকে বেছে নেন ছাত্রছাত্রীরা ! আর এই হোস্টেলে থাকার প্রেক্ষাপটকে অবলম্বন করেই এসে গেল বাংলা ছবি ‘হরি ঘোষের গোয়াল’ ! আজ ছবিটি রিলিজ হলো ! ছবিটি ইতিমধ্যেই কলকাতার অজস্র সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে, সিউড়িতে আসছে আগামী ৬ই ডিসেম্বর ! ছবিতে মূল ভূমিকায় রয়েছেন বীরভূমের সিউড়ির পার্থ দত্ত ! সিনেমার সাথে পার্থর বাস্তব জীবনের চিত্র কিছুটা হলেও সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় ! পার্থ দত্তের বাবা তাপস দত্তের আদি বাড়ি বীরভূমের বড় আলুন্দা গ্রামে ! কর্মসূত্রে তাঁরা এখন সকলেই সিউড়ি সুভাষপল্লীর বাসিন্দারা !

 

ছেলের পড়াশুনার প্রতি একাগ্রতা দেখে বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল পার্থকে ডাক্তার করে তোলা ! সেইমতো শুরু হয় পড়াশোনাও ! পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে মেডিকেল নিয়ে পড়াশোনার প্রস্তুতি শুরু করে পার্থ ! কিন্তু পার্থর মন ছিল না এই মেডিক্যাল জগতে, মনটা টানতো বারবার অভিনয় জগতের দিকে ! শেষমেষ পার্থর মনের টানই পায় সায় ! অভিনয় করার জন্য ছেড়ে দেয় মেডিকেলের প্রস্তুতি, তারপর একের পর এক বিষয় পরিবর্তন করার সাথে সাথে চলে অভিনয় জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ! আর অবশেষে সাফল্য, যাকে বলাই যেতে পারে মনের টান, ইচ্ছাকে কোনদিন আটকে রাখা যায় না ! হরি দিনতো গেলো সন্ধ্যে হলো পার করো আমার রে !!

See also  জুন মাসে মুক্তি পাচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরবর্তী ছবি 'তৃতীয় পুরুষ'

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি