গোটা রাজ্যে শুক্রবার থেকে রেশনে পাঁচ কেজি করে চাল বিনামূল্যে দেওয়া শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগদিয়ে এই ঘোষনা করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।একই সঙে তিনি জানিয়েদেন , রেশন দোকানে চাল নিতে আসা
প্রত্যেক উপভোক্তাকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে । অশান্তি এড়াতে রেশন দোকানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখার সিদ্ধান্তের কথাও
এদিন তিনি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েদেন । বিনা মূল্যে চাল দেওয়ার প্রসঙ্গ সামণে এনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন ,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখলেও কথা রাখেন নি দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রেশনে বিনামূল্যে চাল দেবার
ব্যবস্থা করলেও কেন্দ্র ডাল দেফার কথা দিয়েও এখনও ডাল দেয়নি ।
রেশন বন্টন নিয়েও এদিন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলাশাসক বিজয় ভারতির সঙ্গে বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,
জলাপরিষদ সভাধীপতি শম্পা ধারা সহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন ,পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইস মিলগুলি থেকে ৩৬ হাজার মেট্রিকটন লেভির চাল লেভির চাল বকেয়া রয়েছে । রাইসমিল গুলি যদিও জানিয়েছে তারা ওই বকেয়া চাল দ্রুত দিয়ে দেবে।বাঁকুড়া,দুই ২৪ পরগণা, পুরুলিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় পূর্ব বর্ধমান থেকে চাল সরবরাহ করা হয়।
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বোরোধানের পাশাপাশি বাড়িতে মজুত থাকা খরিফ মরশুমের ধান আগামী ১৫ মে থেকে সরকার সহায়ক মূল্য কেনা শুরু করবে ।অন্নধাত্রী পোটালের মাধ্যমে ওই ধান বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশাসন কিনবে । খাদ্য দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও ধান কেনার বিষয়টি সরজমিনে দেখবেন।