পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতাল থেকে আজ ছাড়া পেল চল্লিশ জন। এর আগে ২৬ শে জুলাই আঠেরো জনকে ছাড়া হয়েছিল যার মধ্যে ছিলেন পাঁশকুড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। বড়মা হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শো জনেরও বেশি মানুষকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম অর্থাৎ অবিভক্ত মেদিনীপুরের করোনা চিকিৎসার জন্য বড়মা হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরে হাসপাতাল তৈরি করা হয় এবং সদ্য কাঁথিতে চিকিৎসার জন্য একটি নার্সিংহোমকে সরকার করোনা হাসপাতালে পরিণত করেছে। এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস এই বড়মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আশার কথা সারা ভারত জুড়ে আক্রান্তর সংখ্যা যেমন বাড়ছে সুস্থ হওয়ার শতাংশও বাড়ছে। আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের জনসংখ্যা, আয়তন এবং আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের আয়তন, জনসংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা, সুস্থ হয়ে ওঠা, মৃত্যুর সংখ্যা প্রভৃতি সামগ্রিকভাবে তুলনা করতে হবে সেইসঙ্গে ভারতে এখন সার্বিকভাবে লকডাউন চলছেনা। আংশিক, এলাকা ভিত্তিক, রোস্টার মেনে লকডাউন হচ্ছে। তারপরেও সেভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে দু- এক জায়গায় হলেও হয়ে থাকতে পারে। পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ সচেতন যারা নিজে থেকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অহেতুক রাস্তায় ঘোরাঘুরি থেকে নিজেদের বিরত রাখে।
পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ সচেতন নয় তাদের মধ্যে তোয়াক্কা না করার মনোভাব বা গুরুত্ব উপলব্ধি করতে না পারা কিংবা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করে তাদের পুলিশ প্রশাসন ও আইনের ধারা দিয়ে ঠিক পথে চালিত করতে হবে। এভাবে ভ্যাকসিন যতদিন না বাজারে আসছে করোনাকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তাছাড়া ভ্যাকসিন এলেও সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয় এখন একটা বড় বিতর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ দিয়ে লকডাউন মানাতে হবে নাকি মানুষকে সচেতন হতে হবে। আসলে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে সমাজে তাই দুটোকেই সমান্তরালভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
পুলিশ প্রশাসন রয়েছে মানুষকে আইন মানতে বাধ্য করানোর জন্য। এক্ষেত্রে মানুষ কেন সচেতন নয় সেটা বলে পুলিশ প্রশাসন তার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেনা আবার কিছু সচেতন নাগরিক রয়েছে যারা নিজে সচেতন এবং অপরকে সচেতন করে তাই যে মানুষ যেমন পুলিশ প্রশাসনকে তার দায়িত্ব সেভাবে পালন করতে হবে। মহামারী সারা বিশ্বে এই প্রথম হয়েছে তা নয় এর আগেও হয়েছে অনেকবার তখন কোনো উন্নত চিকিৎসা ছিলনা তাসত্ত্বেও বিশ্ব শ্মশান হয়ে যায়নি এখন চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে তাই মহামারীতে শ্মশান হয়ে যাবে এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তবে, আগে মানুষের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা ছিল কম আর তখন সমাজ ব্যবস্থাও এরকমই ছিল। এখন মানুষ দূরদূরান্তে ছড়িয়ে থাকে তাই সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে যায় তেমন এখন চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগটাও অনেক বেশি ।